এল নিনো ও লা নিনার প্রভাব

এল নিনো ও লা নিনার প্রভাব বাংলাদেশের উপরেও রয়েছে। এল নিনো এবং লা নিনার কারণে গ্রীষ্মের সময় অতি ক্ষরা এবং বর্ষার সময় অতিবন্যা সৃষ্টি হচ্ছে বাংলাদেশের আবহাওয়াতে। এল নিনো এবং লা নিনার প্রভাব বুঝতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে এল নিনো এবং লা নিনা কি সে সম্পর্কে বুঝতে হবে। কিন্তু এ বিষয়টি বোঝা একটু জটিল। তাই আমরা আজকে এই আর্টিকেলে অত্যন্ত সহজ ভাবে এল নিনো এবং লা নিনা বিষয়টি জানবো। আমি বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে অনেক গবেষণা করে আপনাদের এল নিনো এবং লা নিনা সহজ ভাবে বোঝানোর জন্য একটি চিত্রের সাহায্য নেব।

এল-নিনো-ও-লা-নিনার-প্রভাব
একটি চিত্রের মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই এই আর্টিকেল থেকে এল নিনো এবং লা নিনা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। আমরা জানি, এল নিনো এবং লা নিনা সম্পর্কে ভূগোল বইতে বিস্তারিত লেখা আছে কিন্তু সেখানকার লেখাগুলো পড়ে অনেকেরই মাথার মধ্যে এল নিনো এবং লা নিনা বিষয়টি ঢোকে না। তারাও আজকে এই আর্টিকেল থেকে খুব সহজে এল নিনো এবং লা নিনা সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ এল নিনো ও লা নিনার প্রভাব

এল নিনো ও লা নিনার প্রভাব

এল নিনো ও লা নিনার প্রভাব বুঝতে হলে আপনাকে একটি পার্থক্যের সাহায্য নিতে হবে। পার্থক্যের মাধ্যমে বোঝালে খুব সহজেই এল নিনো এবং লা নিনার প্রভাব বিষয়টি বোঝা যাবে। তাহলে চলুন আমরা একটি টেবিলে পার্থক্যের মাধ্যমে জেনে নিই বাংলাদেশের উপরের এল নিনো এবং লা নিনার প্রভাব সম্পর্কে।

বাংলাদেশের উপর এল নিনো এবং লা নিনার প্রভাব

বাংলাদেশের উপর এল নিনোর প্রভাব বাংলাদেশের উপর লা নিনার প্রভাব
স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টি কম হয় প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম বেড়ে যায়
বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে খরা দেখা দেয় ভ্যাপসা গরম বাড়ার কারণে ঘন ঘন নিম্ন চাপ সৃষ্টি হয়। জলীয় বাষ্পের কারণে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হয়।
খরা হওয়ার কারণে ফসল উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে অতিরিক্ত নিম্নচাপ সৃষ্টির কারণে ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় হয
প্রচণ্ড শীত পড়ে এবং শৈত্য প্রবাহ বেড়ে যায় অতিবৃষ্টি বা বন্যা দেখা দেয়
--------------------------- অতিরিক্ত বন্যা হওয়ার কারণে শীত কম পড়ে

উপরের এই টেবিলটি বুঝলে আপনি এখন নিচের আলোচনা গুলো খুব সহজে বুঝতে পারবেন। এজন্য আমি সর্বপ্রথম আপনাদের একটি টেবিলের সাহায্যে এই বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেছি।

গুরুত্বপূর্ণ নোটঃ
  • বাংলাদেশের এল নিনো এবং লা নিনা প্রবেশ করে বর্ষার শেষে।
  • এল নিনো এবং লা নিনা ২ থেকে ৭ বছর পর পর হয়।
  • লা নিনা বেশিদিন স্থায়ী হয়।
  • প্রথমে এল নিনো প্রবেশ করে। এল নিনো শেষ হয়ে গেলে তারপর লা নিনা প্রবেশ করে। কিন্তু এল নিনো বুঝতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে লা নিনা বুঝতে হবে। তাই আমরা এই আর্টিকেলে সর্বপ্রথম লা নিনা বুঝবো। তাহলে এল নিনো বোঝা সহজ হবে।
  • এল নিনো এবং লা নিনার উৎপত্তি প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিকে। আমরা জানি, ভূমিকম্প এর উৎপত্তি এক জায়গায় হলেও ভূমিকম্প এর কম্পন যেহেতু অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। ঠিক তেমনি প্রশান্তিও মহাসাগরের পূর্ব দিকে এল নিনো এবং লা নিনার ফলে সম্পূর্ণ এশিয়া মহাদেশ, দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ এবং কোন কোন সময় উত্তর আমেরিকা মহাদেশের উপরেও প্রভাব পড়ে।
বাংলাদেশের-উপর-এল-নিনো-এবং-লামিনার-প্রভাব

বাংলাদেশের উপর এল নিনো ও লা নিনার প্রভাব বিস্তারিত আলোচনা

১) আবহাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনঃ
এল নিনো এবং লা নিনো হল আবহাওয়ার পরিস্থিতি যা পুরো পৃথিবীকে প্রভাবিত করে। এল নিনোর প্রভাবে অনেক অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধস হতে পারে। এর বিপরীতে, লা নিনার প্রভাবে অনেক সময় শুষ্কতা এবং খরা দেখা দেয়, বিশেষ করে বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ভারত সহ পুরো এশিয়া মহাদেশ ও আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে।


২) কৃষি এবং খাদ্য নিরাপত্তাঃ
এল নিনো এবং লা নিনা কৃষির ওপরও বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে। এল নিনো অতিরিক্ত বৃষ্টি, বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ফসল নষ্ট করতে পারে, যা খাদ্য সংকট সৃষ্টি করতে পারে। আবার, লা নিনা শুষ্ক আবহাওয়া সৃষ্টি করে, যা পানির ঘাটতি এবং ফসলের উৎপাদন কমাতে পারে।

৩) প্রাকৃতিক বিপর্যয়ঃ
এল নিনো এবং লা নিনা বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে। যেমনঃ ভূমিধস, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, এবং খরা।

৪) অর্থনৈতিক প্রভাবঃ
এল নিনো এবং লা নিনায় প্রভাবিত বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করে দেয়। কৃষিতে ক্ষতি, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে স্থবিরতা এবং বাণিজ্যিক ক্ষতির কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যেতে পারে।

নোটঃ এল নিনো ও লা নিনার প্রভাব পৃথিবীর প্রত্যেক দেশে একই রকম হয় না।

বিশ্বে এল নিনো এবং লা নিনার প্রভাব

  • দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ ও এশিয়া মহাদেশ(এল নিনো): প্রশান্ত মহাসাগরে যখন এল নিনো থাকে তখন দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে প্রচন্ড নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় এবং ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়। ফলে বন্যা বেশি হয়। এত বৃষ্টি হওয়ার পরেও আবহাওয়াতে ভ্যাপসা গরম থাকে। 
    আবার প্রশান্ত মহাসাগরে যদি এল নিনো থাকে তাহলে এশিয়া মহাদেশে পানি কম হয় এবং খরা বেড়ে যায়।
  • দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ ও এশিয়া মহাদেশ(লা নিনা): প্রশান্ত মহাসাগরে যখন লা নিনা থাকে তখন দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে খুব কম বৃষ্টিপাত হয় অর্থাৎ খরা হয়।
    আবার প্রশান্ত মহাসাগরে যখন লা নিনা থাকে তখন এশিয়াতে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়, নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় এবং নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় ঘন ঘন সৃষ্টি হয়। আবহাওয়া ভ্যাপসা গরম থাকে থাকে।
  • উত্তর আমেরিকাঃ এল নিনোর প্রভাবে শীতকালীন বৃষ্টি ও তুষারপাত বৃদ্ধি পায়, তবে লা নিনা সাধারণত শীতকালীন তুষারপাত কমিয়ে দেয়।
অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে এল নিনো এবং লা নিনা একেক দেশের উপরে একেক রকমের প্রভাব বিস্তার করে।

এল নিনো এবং লা নিনা কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

এল নিনো এবং লা নিনা কি এটি বোঝার জন্য আমাদের আবহাওয়ার ৩টি পর্যায় কে বুঝতে হবে। আবহাওয়াতে সাধারণত ৩টি পর্যায় রয়েছে।

যেমনঃ
  • নরমাল বা স্বাভাবিক বা নিউট্রাল আবহাওয়া
  • এল নিনো আবহাওয়া
  • লা নিনা আবহাওয়া
কিন্তু সহজে বোঝার সুবিধার্থে আমরা সর্বপ্রথম নরমাল বা স্বাভাবিক বা নিউট্রাল আবহাওয়া সম্পর্কে জানব, এরপর লা নিনা সম্পর্কে জানব এবং সর্বশেষে এল নিনো সম্পর্কে জানব। যদিও এল নিনো লা নিনার আগে আসে অর্থাৎ এল নিনো আগে আসে এবং লা নিনা পরে আসে, তবুও আমরা এল নিনো এবং লা নিনা সহজভাবে বোঝার জন্য লা লিনা আগে বুঝবো।


এল নিনো এবং লা নিনা সহজ ভাবে বোঝার কৌশল আমি এই আর্টিকেলের শেষের দিকে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। তাই অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে সময় নিয়ে পড়বেন।
এল-নিনো-এবং-লানিনা-কি
Photo Credit: BigganPIC

নরমাল বা স্বাভাবিক বা নিউট্রাল আবহাওয়া কি?

আবহাওয়ার নরমাল বা স্বাভাবিক অবস্থাকে বলা হয় নিউট্রাল আবহাওয়া। অর্থাৎ আবহাওয়াতে যখন এল নিনো এবং লা-নিনা থাকে না তখন আবহাওয়া নরমাল বা স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে। আবহাওয়ার এই নরমাল বা স্বাভাবিক অবস্থাকে নিউট্রাল আবহাওয়া বলা হয়।

এল নিনো আবহাওয়া বা এল নিনো কি?

এল নিনো হচ্ছে আবহাওয়ার সেই পরিস্থিতি যখন প্রশান্ত মহাসাগরের পানি নরমাল বা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি গরম থাকে এবং প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে বায়ুর প্রবাহ নরমাল বা স্বাভাবিক গতিতে ঘটে।

বিস্তারিত সংজ্ঞাঃ যখন প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব পাশে অর্থাৎ দক্ষিণ আমেরিকায় যেমনঃ পেরু, ব্রাজিল কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা ইত্যাদি অঞ্চলে পানি স্বাভাবিকের তুলনায় উষ্ণ থাকে।

এবং যখন প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম পাশে অর্থাৎ ওশেনিয়া মহাদেশ অঞ্চলের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় ঠান্ডা থাকে।

তখন প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে বায়ুপ্রবাহ ঘটে। আমরা পূর্বে জেনেছি যেদিকে ঠান্ডা পানি থাকে সেদিকে উচ্চ চাপ সৃষ্টি হয় এবং আমরা পূর্বে আরো জেনেছি যে এই উচ্চ চাপ নিম্নচাপের দিকে ধাবিত হয় অর্থাৎ যেদিকে উষ্ণ জল থাকে সেদিকে ধাবিত হয়।

নোটঃ প্রশান্ত মহাসাগরে যখন এল নিনো থাকে তখন বাংলাদেশে বৃষ্টি কম হয় এবং খরা বেশি হয়।

লা নিনা আবহাওয়া বা লা নিনা কি?

লা নিনা হচ্ছে এল নিনোর সম্পূর্ণ বিপরীত। অর্থাৎ প্রশান্ত মহাসাগরে নরমাল বা স্বাভাবিকের তুলনায় পানি অতিরিক্ত ঠান্ডা থাকে এবং প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে নরমাল বা স্বাভাবিকের তুলনায় খুব জোরে বায়ু প্রবাহিত হয়। প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম দিকে রয়েছে ওশেনিয়া মহাদেশ।

বিস্তারিত সংজ্ঞাঃ যখন প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব পাশে অর্থাৎ দক্ষিণ আমেরিকায় যেমনঃ পেরু, ব্রাজিল কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা ইত্যাদি অঞ্চলে পানি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঠান্ডা থাকে।

এবং যখন প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম পাশে অর্থাৎ ওশেনিয়া মহাদেশ অঞ্চলের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি গরম থাকে।

তখন প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে প্রচন্ড জোরে বায়ুপ্রবাহ ঘটে। আমরা পূর্বে জেনেছি যেদিকে ঠান্ডা পানি থাকে সেদিকে উচ্চ চাপ সৃষ্টি হয় এবং আমরা পূর্বে আরো জেনেছি যে এই উচ্চ চাপ নিম্নচাপের দিকে ধাবিত হয় অর্থাৎ যেদিকে উষ্ণ জল থাকে সেদিকে ধাবিত হয়।

নোটঃ যখন প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো বিরাজমান থাকে তখন বাংলাদেশের সমুদ্রের পানি বেশি ঠান্ডা থাকে, যার ফলে ঘনঘন নিম্নচাপ হয় না এবং ঘূর্ণিঝড় হয় না অর্থাৎ খরা হয়। আবার যখন প্রশান্ত মহাসাগরে লা নিনা বিরাজমান থাকে তখন বাংলাদেশের সমুদ্রের পানি বেশি গরম থাকে, যার ফলে ঘনঘন নিম্নচাপ হয় এবং ঘূর্ণিঝড় বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ বন্যা বেশি হয়।

আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ 

বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বে নরমাল বা স্বাভাবিক বা নিউট্রাল আবহাওয়া দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। অর্থাৎ বিশ্বের প্রতিটি জায়গায় এল নিনো এবং লা নিনা প্রাকৃতিকভাবে ঘটে যাচ্ছে। পৃথিবীর এই আবহাওয়া নিউট্রাল বা স্বাভাবিক না হওয়ার কারণ হচ্ছে বৈশ্বিক জলবায়ুর পরিবর্তন।
  • এল নিনো এবং লা নিনা বিশ্বের উষ্ণ এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার পরিস্থিতি যা সাধারণত প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব পাশে ঘটে। তবে এর প্রভাব পৃথিবীর নানান প্রান্তে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। 
  • এল নিনো হল এমন একটি পরিস্থিতি যখন প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব অংশের জলের তাপমাত্রা বেশি থাকে এবং বায়ু প্রবাহ পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়।
  • আর লা নিনা হল যখন প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব অংশের জলের তাপমাত্রা তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম হয় এবং বায়ু প্রবাহ পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে স্বাভাবিকের তুলনায় খুব জোরে প্রবাহিত হয়।
এল নিনো এবং লা নিনা দুটি একে অপরের বিপরীত অবস্থায় থাকে, তবে এই দুটি একে অপরকে প্রভাবিত করে এবং পৃথিবীর আবহাওয়ার ওপর এদের প্রভাব ব্যাপক। যখন এল নিনো সক্রিয় হয়, তখন পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে তীব্র গরম, ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টি এবং খরা দেখা দেয়, আর লা নিনা অবস্থায় ঠান্ডা আবহাওয়া, বৃষ্টিপাত কম হওয়া এবং কৃষিতে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

এল নিনো এবং লা নিনার ইতিহাস

এল নিনো এবং লা নিনা এই শব্দ দুটি স্প্যানিশ শব্দ। 
  • এল নিনো শব্দের অর্থ হচ্ছে ছোট বালক
  • লা নিনা শব্দের অর্থ হচ্ছে ছোট বালিকা
ধারণা করা হয় ১৬০০ থেকে ১৭০০ শতাব্দীর দিকে পেরু অঞ্চলের জেলেরা লক্ষ্য করেন কয়েক বছর পর পর ক্রিসমাচ(Christmas) এর সময় সমুদ্রের জল অত্যন্ত উষ্ণ থাকে। ঠিক তখনই এই বিষয়টির নাম তারা দেয় এল নিনো। 

এল নিনো বলতে তারা সাধারণত যীশুর ছোট ছেলেকে বোঝাতো। যেহেতু ক্রিসমাচ(Christmas) এর সময় এই ঘটনাটি ঘটতো এজন্য তারা এই নামকরণ করেছিল। কিন্তু এল নিনোর পরেই তারা পুনরায় শীতল পানির অবস্থা লক্ষ্য করতে পারত।
এল-নিনো-এবং-লা নিনার-ইতিহাস
Photo Credit: BigganPIC
সেই সময়ে জেলেরা প্রশান্ত মহাসাগরের পানির তাপমাত্রা সম্পর্কে অবগত ছিল না। পরবর্তীতে ১৯৬০ সালের দিকে অবশেষে মানুষ বুঝতে পারে যে প্রশান্তিও মহাসাগরের পানির এই তারতম্যের কারণে পৃথিবীর আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে।

অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে প্রশান্ত মহাসাগরের পানির এই তারতম্য গোটা বিশ্বের আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে এবং এই বিষয়টিকে তখন নাম দেওয়া হয় EL NINI-SOUTHERN OSCILLATION(ENSO).

এল নিনো ও লা নিনা কিভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটায়?

এল নিনো এবং লা নিনা পৃথিবীর আবহাওয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে যখন বেশি তারতম্য ঘটে এবং বায়ু প্রবাহের দিকের তারতম্য ঘটে তখনই এল নিনো এবং লা নিনা পুরো পৃথিবীর আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে।

এল নিনো এবং লা নিনার প্রভাব আমরা বুঝলাম কিন্তু এল নিনো এবং লা নিনা কিভাবে আবহাওয়ার উপর প্রভাব ফেলে সে সম্পর্কে আমাদের বুঝতে হবে। তাই আমরা এখন সহজভাবে চিত্রের মাধ্যমে এল নিনো এবং লা নিনা বিষয়টিকে বুঝব।

এল নিনো এবং লা নিনা বিষয়টি বোঝার জন্য কিছু বিষয় মাথায় রাখুনঃ
  • সমুদ্রের ঠান্ডা পানি = উচ্চ চাপ সৃষ্টি করে = খরা + শৈত্য প্রবাহ
  • সমুদ্রের গরম পানি = নিম্নচাপ সৃষ্টি করে = ঘূর্ণিঝড় + বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ
নোটঃ ঠান্ডা জলের উচ্চ চাপের বায়ুর প্রবাহ সবসময়ই = উষ্ণ জলের দিকে ধাবিত হয়।

বোঝার সুবিধার্থে আরো কিছু বিষয় মনে রাখুনঃ
  • নরমাল বা স্বাভাবিক বা নিউট্রাল আবহাওয়া = প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিকের জল স্বাভাবিক ঠান্ডা + প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম দিকে জল স্বাভাবিক গরম।
  • লা নিনা আবহাওয়া = প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিকের জল অস্বাভাবিক ঠান্ডা বা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঠান্ডা + প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম দিকের জল অস্বাভাবিক গরম বা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি গরম।
  • এল নিনো আবহাওয়া = প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিকের জল অস্বাভাবিক গরম বা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি গরম + প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম দিকে জল অস্বাভাবিক ঠান্ডা বা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঠান্ডা।

চলুন এখন জেনে নেই আবহাওয়াতে এল নিনো ও লা নিনার প্রভাব কিভাবে পরিবর্তন হয়ঃ

স্বাভাবিক বা নিউট্রাল আবহাওয়াঃ

প্রথম চিত্রটিতে লক্ষ্য করুন - প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিকের পেরু এবং চিলির কাছাকাছি পানি যখন স্বাভাবিক শীতল অবস্থায় থাকছে তখন উচ্চ চাপ সৃষ্টি করছে। এবং আমরা উপরে আলোচনা করেছি এই উচ্চচাপের বায়ু প্রবাহিত হয় সব সময় উষ্ণ জলের দিকে।

ফটোর লেখা বুঝতে না পারলে জুম করে পড়ুন
এল-নিনো-ও-লা-নিনো-কিভাবে-আবহাওয়ার-পরিবর্তন-ঘটায়
Photo Credit: GEOID LEARN
এখানে এই চিত্রে উচ্চ চাপটির বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে পশ্চিম দিকের স্বাভাবিক উষ্ণ জলের দিকে। এই উচ্চচাপের বায়ুর প্রবাহ যখন স্বাভাবিকভাবে প্রাকৃতিক নিয়মে উষ্ণ জলের দিকে যায় তখন আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকে। এই সময় উভয় মহাদেশেই অতিরিক্ত খরা বা অতিরিক্ত বন্যা হয় না।

স্বাভাবিক বা নিউট্রাল আবহাওয়ার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে,
  • নিউট্রাল বা স্বাভাবিক আবহাওয়ার সময় প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিকে সাধারণ নরমাল বা স্বাভাবিক শীতল জল থাকে।
  • নিউট্রাল বা স্বাভাবিক আবহাওয়ার সময় প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম দিকে সাধারণ নরমাল বা স্বাভাবিক উষ্ণ জল থাকে।
যেহেতু এই সময় প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিকে এবং পশ্চিম দিকে উভয় পাশেই স্বাভাবিক ঠান্ডা পানি এবং স্বাভাবিক গরম পানি অবস্থান করে সেহেতু আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকে অর্থাৎ প্রকৃতি অনুকূলে থাকে।

লা নিনা আবহাওয়াঃ

দ্বিতীয় চিত্রটিতে লক্ষ্য করুন - প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিকের পেরু এবং চিলির কাছাকাছি পানি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি শীতল থাকছে তখন উচ্চ চাপ সৃষ্টি করছে। এবং আমরা উপরে আলোচনা করেছি এই উচ্চচাপের বায়ু প্রবাহিত হয় সব সময় উষ্ণ জলের দিকে।

ফটোর লেখা বুঝতে না পারলে জুম করে পড়ুন
এল-নিনো-ও-লা-নিনো-কিভাবে-আবহাওয়ার-পরিবর্তন-ঘটায়
Photo Credit: GEOID LEARN
এখানে এই চিত্রে উচ্চ চাপটির বায়ু স্বাভাবিকের তুলনায় খুব দ্রুত প্রবাহিত হচ্ছে পশ্চিম দিকের স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি উষ্ণ জলের দিকে। এই উচ্চচাপের বায়ুর প্রবাহ যখন স্বাভাবিকের তুলনায় প্রাকৃতিক নিয়ম ভঙ্গ করে অতি দ্রুত বায়ুর প্রবাহ উষ্ণ জলের দিকে যায় তখন আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকে না।

নোটঃ প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিকের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত ঠান্ডা হওয়ার কারণে খুব বেশি উচ্চচাপ পশ্চিম দিকে প্রয়োগ করে।

এই সময় ওশেনিয়া এবং এশিয়া মহাদেশে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প সৃষ্টি হয় এবং এই জলীয় বাষ্প থেকে ঘন ঘন নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা দেখা দেয়। অর্থাৎ স্বাভাবিকের তুলনায় প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়। অন্যদিকে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে যেমন পেরু, কলম্বিয়া, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা সহ সকল দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে খরা দেখা দিবে।

লা নিনা আবহাওয়ার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে,
  • লা নিনা আবহাওয়ার সময় প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিকে সাধারণ নরমাল বা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি শীতল জল থাকে।
  • লা নিনা আবহাওয়ার সময় প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম দিকে সাধারণ নরমাল বা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি উষ্ণ জল থাকে।
যেহেতু এই সময় প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিকের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঠান্ডা থাকে সেহেতু খুব বেশি জলীয় বাষ্প পশ্চিম দিকে ধাবিত হয়। আবার যেহেতু এই সময় প্রান্ত মহাসাগরের পশ্চিম দিকে আগে থেকেই স্বাভাবিকের তুলনায় খুব বেশি উষ্ণ জল থাকে সেহেতু পূর্ব দিকের এই জলীয় বাষ্প মিলিত হয়ে বেশি বেশি মেঘ সৃষ্টি করে এবং বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়।

এল নিনো আবহাওয়াঃ

তৃতীয় চিত্রটিতে লক্ষ্য করুন - প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম দিকের ওশেনিয়া অঞ্চলের কাছাকাছি পানি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি শীতল থাকছে তখন উচ্চ চাপ সৃষ্টি করছে। এবং আমরা উপরে আলোচনা করেছি এই উচ্চচাপের বায়ু প্রবাহিত হয় সব সময় উষ্ণ জলের দিকে।

ফটোর লেখা বুঝতে না পারলে জুম করে পড়ুন
এল-নিনো-ও-লা-নিনো-কিভাবে-আবহাওয়ার-পরিবর্তন-ঘটায়
Photo Credit: GEOID LEARN
আমরা পূর্বের দুইটি চিত্রতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবো বায়ু প্রবাহের উচ্চচাপ পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে যাচ্ছে। কিন্তু এখানে চিত্রে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাচ্ছি বায়ুপ্রবাহের উচ্চচাপ উল্টা দিকে যাচ্ছে অর্থাৎ পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে যাচ্ছে। বায়ুর প্রবাহ যখন এরকম উল্টা দিকে যায় তখন তাকে বলা হয় এল নিনো। 

এখানে বায়ুর প্রবাহ উল্টা দিকে গেলেও বায়ুপ্রবাহের গতি স্বাভাবিক থাকবে। এই অবস্থায় এশিয়া মহাদেশ বা অশেনিয়া মহাদেশের তীব্র খরা দেখা দেয় এবং শীত বেশি অনুভূত হয়। অন্যদিকে দক্ষিণ আমেরিকা অর্থাৎ পেরু, চিলি, কলম্বিয়া, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ইত্যাদি অঞ্চলে বেশি বেশি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় এবং ঘূর্ণিঝড়, বন্যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়।

এল নিনো আবহাওয়ার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে,
  • এল নিনোর এই রকম বিপরীতমুখী বায়ু প্রবাহ ২ থেকে ৭ বছর পর পর দেখা যায়।
  • এল নিনো আবহাওয়ার সময় প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম দিকে সাধারণ বা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি শীতল জল থাকে।
  • এল নিনো আবহাওয়ার সময় প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিকে সাধারণ বা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি উষ্ণ জল থাকে।
  • এল নিনোতে বিপরীতমুখী প্রবাহ সৃষ্টি হলেও এখানে বায়ুর প্রবাহ দ্রুত হয় না অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবেই বায়ুর প্রবাহ বিপরীত দিকে ধাবিত হয়। কিন্তু  লা নিনাতে বায়ুর প্রবাহ হয় খুব জোরে।

কখন কোন মহাদেশের পানি উষ্ণ থাকে এবং কখন কোন মহাদেশের পানি ঠান্ডা থাকে?

আমরা জানি যখন গরম কাল থাকে তখন সূর্য সরাসরি খাড়া ভাবে অবস্থান করে এজন্য বেশি তাপ অনুভূতি হয়। তাই সূর্য যখন গ্রীষ্মকালে সরাসরি খাড়া ভাবে আলো প্রদান করে তখন সমুদ্রের পানি গরম হয়ে যায়। এই গরমের মাত্রাটা যখন বেশি হয়ে যায় তখনই এল নিনো এবং লামিনার প্রভাব বিস্তার করে।  অনেক আগে পৃথিবীর আবহাওয়া যখন ভালো ছিল তখন গরমকালে সমুদ্রের পানি স্বাভাবিক গরম থাকতো। কিন্তু বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গরম কালে সমুদ্রের পানি অতিরিক্ত গরম হয়ে যাচ্ছে।

আমরা জানি শীতকালে সূর্য সরাসরি খাড়া ভাবে আলো প্রদান করে না। এর ফলে রোদের তাপমাত্রা কম হয় যার কারণে সমুদ্রের পানির তাপমাত্রাও কম থাকে। প্রকৃতি স্বাভাবিক নিয়মে চলতে থাকলে শীতের সময় সমুদ্রের পানির শীতলতা স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শীতের সময় এখন সমুদ্রের পানি অতিরিক্ত শীতল হয়ে যাচ্ছে যার কারণে এল নিন এবং লা নিনার সৃষ্টি হচ্ছে।

FAQ: এল নিনো ও লা নিনার প্রভাব

এল নিনো কি?

এল নিনো হল একটি আবহাওয়া পরিস্থিতি যখন প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিকের জল স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি উষ্ণ বা গরম থাকে এবং প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম দিকের জল স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঠান্ডা থাকে

লা নিনা কি?

লা নিনা হল একটি আবহাওয়া পরিস্থিতি যখন প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিকের জল স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঠান্ডা থাকে এবং প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম দিকের জল স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি উষ্ণ বা গরম থাকে।

এল নিনো ও লা নিনা এর প্রভাব কী?

এল নিনো অতিরিক্ত বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এবং গরম আবহাওয়া সৃষ্টি করতে পারে। লা নিনা শুষ্কতা, খরা, এবং ঠান্ডা আবহাওয়া সৃষ্টি করে।

এল নিনো কয় বছর পর পর হয়?

এল নিনো সাধারণত দুই থেকে সাত বছর পর পর দেখা যায় কিন্তু বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতিবছরি এল নিনো এবং লা-নিনা বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যাচ্ছে। এল নিনো বিদায় হয়ে গেলে লা নিনার প্রবেশ ঘটে।

এল নিনো ভালো না লা নিনা ভালো?

এল নিনো এবং লা নিনা কোনোটিই ভালো আবহাওয়া নয়। আমরা জানি, আবহাওয়ার তিনটি ধরন প্রথমটি হচ্ছে স্বাভাবিক বা নিউট্রাল। দ্বিতীয়টি হচ্ছে এল নিনো এবং তৃতীয়টি হচ্ছে লা নিনা। শুধুমাত্র আবহাওয়ার প্রথম ধরন অর্থাৎ স্বাভাবিক বা নিউট্রাল আবহাওয়া সবচেয়ে ভালো।

শেষ মন্তব্য

এল নিনো ও লা নিনার প্রভাব পৃথিবীর আবহাওয়া ও জলবায়ুর বড় পরিবর্তন ঘটানোর জন্য দায়ী। এই দুটি ঘটনা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে নানা ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়, কৃষি সমস্যা এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে মানুষের জীবনযাত্রা প্রভাবিত হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণ হচ্ছে আমরা। আমরা পৃথিবীর গাছপালা কেটে পৃথিবীর আবহাওয়া নষ্ট করে দিচ্ছি। তাই জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করতে আমাদের বেশি বেশি করে ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগাতে হবে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url