বাংলাদেশের সকল পরীক্ষার GPA CGPA বের করার টেকনিন আপনারা এই আর্টিকেল থেকে জানতে
পারবেন। অর্থাৎ এই আর্টিকেল থেকে আপনি এসএসসি(SSC), এইচএসসি(HSC),
অনার্স(Honers), ডিগ্রি(Degree) এবং মাস্টার্স(Masters) সকল পরীক্ষার GPA CGPA
আলাদা আলাদা ভাবে শিখতে পারবেন।
প্রথমে বলে রাখি বাংলাদেশের সকল পরীক্ষার GPA CGPA বের করার টেকনিন আপনি অনেক
জায়গায় পাবেন কিন্তু সহজভাবে কোথাও এই টেকনিক কেউ শেখায় নি। তাই এই আর্টিকেলটি
মনোযোগ দিয়ে আপনাকে পড়তে হবে না হলে আপনি GPA CGPA বের করার সহজ এই টেকনিনটি
বুঝতে পারবেন না।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বাংলাদেশের সকল পরীক্ষার GPA CGPA বের করার টেকনিন
বাংলাদেশের সকল পরীক্ষার GPA CGPA বের করার টেকনিন
বাংলাদেশের সকল পরীক্ষার GPA CGPA বের করার টেকনিন আমরা পর্যায়ক্রমিকভাবে এখন
জানব। আমরা পর্যায়ক্রমিকভাবে যে সকল পরীক্ষার GPA CGPA বের করার টেকনিন
জানব তা সংক্ষেপে প্রথমে জেনে নিন।
প্রথম পর্যায়ে আমরা শিখবো বাংলাদেশের সকল বোর্ড পরীক্ষার রেজাল্ট বের করা
টেকনিকঃ
- এসএসসি(SSC) জিপিএ বের করার নিয়ম
- এইচএসসি(HSC) জিপিএ বের করার নিয়ম
- জেএসসি(JSC) জিপিএ বের করার নিয়ম
- পিএসসি(PSC) জিপিএ বের করার নিয়ম
দ্বিতীয় পর্যায়ে আমরা শিখবো বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল
পরীক্ষার রেজাল্ট বের করা টেকনিকঃ
-
অনার্স(Honers) জিপিএ এবং সিজিপিএ বের করার নিয়ম | ডিগ্রী(Degree)
জিপিএ এবং সিজিপিএ বের করার নিয়ম | উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের
অনার্স(Honers) জিপিএ এবং সিজিপিএ বের করার নিয়ম
-
মাস্টার্স(Masters) জিপিএ বের করার নিয়ম | মাস্টার্স প্রিলিমিনারি
| মাস্টার্স ফাইনাল সিজিপিএ বের করার নিয়ম
এখন প্রশ্ন আসতে পারে জিপিএ(GPA) এবং ( সিজিপিএ(CGPA) কি?
দেখুন সিজিপিএ বুঝতে হলে আপনাকে সর্ব প্রথম জিপিএ বুঝতে হবে। আমরা উপরে দেখতে
পাচ্ছি শুধুমাত্র অনার্স এবং ডিগ্রী পরীক্ষার ক্ষেত্রে সিজিপিএ প্রযোজ্য।
- জিপিএ(GPA) এর পরিপূর্ণরূপ: Grade Point Average
- সিজিপিএ(CGPA) এর পরিপূর্ণরূপ: Cumulative Grade Point Average
জিপিএ হলো সেই গ্রেড পয়েন্ট যা শুধুমাত্র এক বছরের জন্য যা আমরা এসএসসি, এইচএসসি
বা জে এস সি তে বের করি। কিন্তু মনে রাখবেন, সিজিপিএ শুধুমাত্র অনার্স এবং
মাস্টার্স এর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অর্থাৎ এসএসসি এইচএসসি জেএসসি তে বের করার
প্রয়োজন পড়ে না শুধুমাত্র অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষায় সিজিপিএ বের করতে হয়।
এজন্য আমরা উপরে দেখতে পাচ্ছি (উপরে ভালো ভাবে লক্ষ্য করুন বোঝার জন্য)-
-
এসএসসি, এইচএসসি, জেএসসি, পিএসসি এই সকল পরীক্ষায় শুধু জিপিএ বের হয়।
-
কিন্তু অনার্স এর ক্ষেত্রে যেহেতু চার বছরের রেজাল্ট মিলে ফাইনাল একটা
রেজাল্ট দেওয়া হয় এবং ডিগ্রী রেজাল্ট এর ক্ষেত্রেও যেহেতু তিন বছরের
রেজাল্ট মিলে ফাইনাল একটা রেজাল্ট দেওয়া হয়, এই জন্যই অনার্স এবং ডিগ্রিতে
শুধুমাত্র সিজিপিএ বের করা লাগে। এছাড়া মাস্টার্স পরীক্ষাতেও সিজিপিএ বের
করার প্রয়োজন পড়ে।
আশা করছি আপনারা জিপিএ এবং সিজিপিএ এর বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। এখন চলুন আমরা
উদাহরণের সাহায্যে পর্যায়ক্রমিকভাবে বাংলাদেশের সকল পরীক্ষার রেজাল্ট বের করি।
রেজাল্ট বের করার জন্য আমি আমার ব্যক্তিগত মার্কশীট এর নাম্বার আপনাদের সঙ্গে
শেয়ার করব, যেনো আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পারেন বিষয়টি।
এসএসসি(SSC) জিপিএ বের করার নিয়ম
এসএসসি(SSC) জিপিএ বের করার নিয়ম জানার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম
লেটার গ্রেড, ক্লাস ইন্টারভাল বা মার্ক রেঞ্জ এবং গ্রেট পয়েন্ট জানতে
হবে।
লেটার গ্রেড |
ক্লাস ইন্টারভাল বা মার্ক রেঞ্জ |
গ্রেট পয়েন্ট |
A+ |
80-100 |
5 |
A |
70-79 |
4 |
A- |
60-69 |
3.5 |
B |
50-59 |
3 |
C |
40-49 |
2 |
D |
33-39 |
1 |
F |
0-32 |
0 |
এখন চলুন আমরা উদাহরণের সাহায্যে বুঝে নিই কিভাবে এসএসসি পরীক্ষার জন্য গ্রেড
পয়েন্ট বের করবেন-
ধরুন,
- আপনি বাংলায় পেয়েছেন A
- ইংরেজিতে পেয়েছেন B
- গণিতে পেয়েছেন A+
- সাধারণ বিজ্ঞানে পেয়েছেন A+
- ইসলাম শিক্ষায় পেয়েছেন A
- ব্যবসায় পরিচিতিতে পেয়েছেন A+
- হিসাববিজ্ঞানে পেয়েছেন A+
- ব্যবসায়ী উদ্যোগে পেয়েছেন A+
এবং ফোর্থ সাবজেক্ট বা অ্যাডিশনাল সাবজেক্টে পেয়েছেন A+
তাহলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হবে-
- বাংলায় (A) = 4
- ইংরেজিতে (B) = 3
- গণিতে (A+) = 5
- সাধারণ বিজ্ঞানে (A+) = 5
- ইসলাম শিক্ষায় (A) = 4
- ব্যবসায় পরিচিতিতে (A+) = 5
- হিসাববিজ্ঞানে (A+) = 5
- ব্যবসায়ী উদ্যোগে (A+) = 5
এবং ফোর্থ সাবজেক্ট (A+) = 3
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ফোর্থ সাবজেক্টে A+ পেলেও 5 গ্রেড পয়েন্ট নেওয়া যাবে
না। কারণ এটা মেইন সাবজেক্ট না এটা হল ফোর্থ সাবজেক্ট। যদি আপনি ফোর্থ
সাবজেক্টে A পান তাহলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হবে 2
অর্থাৎ এখানে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাবো ফোর্থ সাবজেক্টে 2 বিয়োগ করে
গ্রেড পয়েন্ট বের করা হচ্ছে।
যেমনঃ
- আপনি ফোর্থ সাবজেক্টে A+ পেলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হচ্ছে, (5-2)=3
- আপনি ফোর্থ সাবজেক্টে A পেলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হচ্ছে, (4-2)=2
এখন আমরা একটি সূত্রের মাধ্যমে টোটাল গ্রেড পয়েন্ট বের করব খুব সহজে।
টোটাল গ্রেড পয়েন্ট (ফোর্থ সাবজেক্ট সহ)
সূত্রঃ ---------------------------------------------------
টোটাল সাবজেক্ট (ফোর্থ সাবজেক্ট বাদে)
4 + 3 + 5 + 5 + 4 + 5 + 5 + 5 + 3
= -----------------------------------------
8
39
= ------
8
= 4.875 বা 4.88 GPA
এভাবে আপনি খুব সহজে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি আপনার এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের
গ্রেড পয়েন্ট বের করে নিতে পারবেন। এখন আমরা পরবর্তী স্টেপে এইচএসসি পরীক্ষার
গ্রেড পয়েন্ট বের করা শিখব।
এইচএসসি(HSC) জিপিএ বের করার নিয়ম
এইচএসসি(HSC) জিপিএ বের করার নিয়ম জানার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম
লেটার গ্রেড, ক্লাস ইন্টারভাল বা মার্ক রেঞ্জ এবং গ্রেট পয়েন্ট জানতে
হবে।
লেটার গ্রেড |
ক্লাস ইন্টারভাল বা মার্ক রেঞ্জ |
গ্রেট পয়েন্ট |
A+ |
80-100 |
5 |
A |
70-79 |
4 |
A- |
60-69 |
3.5 |
B |
50-59 |
3 |
C |
40-49 |
2 |
D |
33-39 |
1 |
F |
0-32 |
0 |
এখন চলুন আমরা উদাহরণের সাহায্যে বুঝে নিই কিভাবে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য
গ্রেড পয়েন্ট বের করবেন-
ধরুন,
- আপনি বাংলায় পেয়েছেন A
- ইংরেজিতে পেয়েছেন A-
- প্রিন্সিপ্লেস অফ বিজনেস অ্যান্ড প্র্যাকটিস A
- ফিন্যান্সিয়াল প্রোডাকশন এন্ড মার্কেটিং A+
- হিসাববিজ্ঞানে পেয়েছেন A+
এবং ফোর্থ সাবজেক্ট বা অ্যাডিশনাল সাবজেক্টে পেয়েছেন A+
তাহলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হবে-
- বাংলায় (A) = 4
- ইংরেজিতে (A-) = 3.5
- প্রিন্সিপ্লেস অফ বিজনেস অ্যান্ড প্র্যাকটিস (A) = 4
- ফিন্যান্সিয়াল প্রোডাকশন এন্ড মার্কেটিং (A+) = 5
- হিসাববিজ্ঞানে (A+) = 5
এবং ফোর্থ সাবজেক্ট (A+) = 3
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ফোর্থ সাবজেক্টে A+ পেলেও 5 গ্রেড পয়েন্ট নেওয়া
যাবে না। কারণ এটা মেইন সাবজেক্ট না এটা হল ফোর্থ সাবজেক্ট। যদি আপনি
ফোর্থ সাবজেক্টে A পান তাহলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হবে 2
অর্থাৎ এখানে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাবো ফোর্থ সাবজেক্টে 2 বিয়োগ করে
গ্রেড পয়েন্ট বের করা হচ্ছে।
যেমনঃ
- আপনি ফোর্থ সাবজেক্টে A+ পেলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হচ্ছে, (5-2)=3
- আপনি ফোর্থ সাবজেক্টে A পেলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হচ্ছে, (4-2)=2
এখন আমরা একটি সূত্রের মাধ্যমে টোটাল গ্রেড পয়েন্ট বের করব খুব সহজে।
টোটাল গ্রেড পয়েন্ট (ফোর্থ সাবজেক্ট সহ)
সূত্রঃ ---------------------------------------------------
টোটাল সাবজেক্ট (ফোর্থ সাবজেক্ট বাদে)
4 + 3.5 + 4 + 5 + 5 + 3
= -----------------------------------------
5
24.5
= ------
5
= 4.90 GPA
এভাবে আপনি খুব সহজে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি আপনার এইচএসসি পরীক্ষার
রেজাল্টের গ্রেড পয়েন্ট বের করে নিতে পারবেন। এখন আমরা পরবর্তী স্টেপে জেএসসি
পরীক্ষার গ্রেড পয়েন্ট বের করা শিখব।
জেএসসি(JSC) জিপিএ বের করার নিয়ম
জেএসসি(JSC) জিপিএ বের করার নিয়ম জানার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম লেটার গ্রেড, ক্লাস ইন্টারভাল বা মার্ক রেঞ্জ এবং গ্রেট পয়েন্ট জানতে হবে।
লেটার গ্রেড |
ক্লাস ইন্টারভাল বা মার্ক রেঞ্জ |
গ্রেট পয়েন্ট |
A+ |
80-100 |
5 |
A |
70-79 |
4 |
A- |
60-69 |
3.5 |
B |
50-59 |
3 |
C |
40-49 |
2 |
D |
33-39 |
1 |
F |
0-32 |
0 |
এখন চলুন আমরা উদাহরণের সাহায্যে বুঝে নিই কিভাবে জেএসসি(JSC) পরীক্ষার
জন্য গ্রেড পয়েন্ট বের করবেন-
ধরুন,
- আপনি বাংলায় পেয়েছেন A+
- ইংরেজিতে পেয়েছেন A
- গণিত A+
- সাধারণ বিজ্ঞান A
- সামাজিক বিজ্ঞান A+
- ধর্মশিক্ষা A+
এবং ফোর্থ সাবজেক্ট বা অ্যাডিশনাল সাবজেক্টে পেয়েছেন A+
তাহলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হবে-
- বাংলায় (A+) = 5
- ইংরেজিতে (A) = 4
- গণিত (A+) = 5
- সাধারণ বিজ্ঞান (A) = 4
- সামাজিক বিজ্ঞান (A+) = 5
- ধর্মশিক্ষা (A+) = 5
এবং ফোর্থ সাবজেক্ট (A+) = 3
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ফোর্থ সাবজেক্টে A+ পেলেও 5 গ্রেড পয়েন্ট
নেওয়া যাবে না। কারণ এটা মেইন সাবজেক্ট না এটা হল ফোর্থ সাবজেক্ট।
যদি আপনি ফোর্থ সাবজেক্টে A+ পান তাহলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হবে 2
অর্থাৎ এখানে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাবো ফোর্থ সাবজেক্টে 2 বিয়োগ
করে গ্রেড পয়েন্ট বের করা হচ্ছে।
যেমনঃ
-
আপনি ফোর্থ সাবজেক্টে A+ পেলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হচ্ছে, (5-2)=3
-
আপনি ফোর্থ সাবজেক্টে A পেলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হচ্ছে, (4-2)=2
এখন আমরা একটি সূত্রের মাধ্যমে টোটাল গ্রেড পয়েন্ট বের করব খুব সহজে।
টোটাল গ্রেড পয়েন্ট ফোর্থ (সাবজেক্ট
সহ)
সূত্রঃ ---------------------------------------------------
টোটাল সাবজেক্ট (ফোর্থ সাবজেক্ট বাদে)
5 + 4 + 5 + 4 + 5 + 5 + 3
= -----------------------------------------
6
31
= ------
6
= 5.166 বা 5.17 বা GPA A+
নোটঃ যদি ফোর্থ সাবজেক্ট না থাকে তাহলে সূত্র হবে -
টোটাল গ্রেড পয়েন্ট
সূত্রঃ -------------------------
টোটাল সাবজেক্ট
এভাবে আপনি খুব সহজে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনার জেএসসি পরীক্ষার
রেজাল্টের গ্রেড পয়েন্ট বের করে নিতে পারবেন। এখন আমরা পরবর্তী স্টেপে
পিএসসি পরীক্ষার গ্রেড পয়েন্ট বের করা শিখব।
পিএসসি(PSC) জিপিএ বের করার নিয়ম
পিএসসি(PSC) জিপিএ বের করার নিয়ম জানার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম লেটার গ্রেড, ক্লাস ইন্টারভাল বা মার্ক রেঞ্জ এবং গ্রেট পয়েন্ট জানতে হবে।
লেটার গ্রেড |
ক্লাস ইন্টারভাল বা মার্ক রেঞ্জ |
গ্রেট পয়েন্ট |
A+ |
80-100 |
5 |
A |
70-79 |
4 |
A- |
60-69 |
3.5 |
B |
50-59 |
3 |
C |
40-49 |
2 |
D |
33-39 |
1 |
F |
0-32 |
0 |
এখন চলুন আমরা উদাহরণের সাহায্যে বুঝে নিই কিভাবে পিএসসি পরীক্ষার জন্য
গ্রেড পয়েন্ট বের করবেন-
ধরুন,
- আপনি বাংলায় পেয়েছেন A
- ইংরেজিতে পেয়েছেন A-
- গণিতে পেয়েছেন A
- বিজ্ঞানে পেয়েছেন A
- বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় A
- ধর্ম শিক্ষা A+
এবং ফোর্থ সাবজেক্ট বা অ্যাডিশনাল সাবজেক্টে পেয়েছেন A+
তাহলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হবে-
- বাংলায় (A) = 4
- ইংরেজিতে (A-) = 3.5
- গণিতে (A) = 4
- বিজ্ঞানে (A) = 4
- বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (A) = 4
- ধর্ম শিক্ষা (A+) = 5
এবং ফোর্থ সাবজেক্ট (A+) = 3
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ফোর্থ সাবজেক্টে A+ পেলেও 5 গ্রেড পয়েন্ট
নেওয়া যাবে না। কারণ এটা মেইন সাবজেক্ট না এটা হল ফোর্থ সাবজেক্ট। যদি
আপনি ফোর্থ সাবজেক্টে A পান তাহলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হবে 2
অর্থাৎ এখানে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাবো ফোর্থ সাবজেক্টে 2 বিয়োগ করে
গ্রেড পয়েন্ট বের করা হচ্ছে।
যেমনঃ
- আপনি ফোর্থ সাবজেক্টে A+ পেলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হচ্ছে, (5-2)=3
- আপনি ফোর্থ সাবজেক্টে A পেলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হচ্ছে, (4-2)=2
এখন আমরা একটি সূত্রের মাধ্যমে টোটাল গ্রেড পয়েন্ট বের করব খুব সহজে।
টোটাল গ্রেড পয়েন্ট ফোর্থ (সাবজেক্ট
সহ)
সূত্রঃ ---------------------------------------------------
টোটাল সাবজেক্ট (ফোর্থ সাবজেক্ট বাদে)
4 + 3.5 + 4 + 4 + 4 + 5 + 3
= -----------------------------------------
6
27.5
= ------
6
= 4.58 GPA
এভাবে খুব সহজে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি আপনার পিএসসি পরীক্ষার
রেজাল্টের গ্রেড পয়েন্ট বের করে নিতে পারবেন।
নোটঃ যদি ফোর্থ সাবজেক্ট না থাকে তাহলে সূত্র হবে -
টোটাল গ্রেড পয়েন্ট
সূত্রঃ -------------------------
টোটাল সাবজেক্ট
অনার্স(Honers) জিপিএ এবং সিজিপিএ বের করার নিয়ম | ডিগ্রী(Degree) জিপিএ এবং
সিজিপিএ বের করার নিয়ম | উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স(Honers) জিপিএ এবং
সিজিপিএ বের করার নিয়ম
আমরা উপরের আলোচনা থেকে জানলাম জেএসসি, পিএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায়
সর্বোচ্চ গ্রেড পয়েন্ট থাকে 5, অর্থাৎ A+ পেলে গ্রেড পয়েন্ট ধরা হয় 5, কিন্তু
অনার্স, ডিগ্রী এবং মাস্টার্স এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গ্রেড পয়েন্ট হবে 4, অর্থাৎ
আপনি কোন সাবজেক্টে A+ পেলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট ধরা হবে 4,
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অনার্স এবং মাস্টার্স পরীক্ষার রেজাল্ট বের করার
নিয়ম এসএসসি এইচএসসি রেজাল্ট বের করার নিয়মের সবচেয়ে একটু ব্যতিক্রম কারণ
এখানে ক্রেডিটের বিষয় রয়েছে। তাই এখানে
প্রতিটি সাবজেক্ট এর ক্রেডিট হিসাব করে ফলাফল বের করতে হবে। কিভাবে ক্রেডিট বের
করবেন, কিভাবে রেজাল্ট বের করবেন তা জানতে মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেলটি পড়তে
থাকুন।
অনার্স(Honers) জিপিএ এবং সিজিপিএ, ডিগ্রী(Degree) জিপিএ এবং
সিজিপিএ, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স(Honers) জিপিএ এবং সিজিপিএ বের
করার নিয়ম জানার জন্য আপনাকে পূর্বের মতই সর্বপ্রথম লেটার গ্রেড, ক্লাস ইন্টারভাল বা মার্ক রেঞ্জ এবং গ্রেট পয়েন্ট জানতে হবে।
লেটার গ্রেড |
ক্লাস ইন্টারভাল বা মার্ক রেঞ্জ |
গ্রেট পয়েন্ট |
ডিভিশন |
A+ |
80-100 |
4.00 |
1st Class |
A |
75-79 |
3.75 |
1st Class |
A- |
70-74 |
3.50 |
1st Class |
B+ |
65-69 |
3.25 |
1st Class |
B |
60-64 |
3.00 |
1st Class |
B- |
55-59 |
2.75 |
2nd Class |
C+ |
50-54 |
2.50 |
2nd Class |
C |
45-49 |
2.25 |
2nd Class |
D |
40-44 |
2.00 |
3rd Class |
F |
0-43 |
0.00 |
Fail |
এখন সর্বপ্রথম আপনাকে অনার্সের জন্য 4 বছরের জিপিএ বা ডিগ্রির জন্য 3 বছরের জিপিএ
পয়েন্ট বের করতে হবে। এই জিপিএ গ্রেডপয়েন্টটি বের হওয়ার পরে সবশেষে সিজিপিএ
গ্রেডপয়েন্ট বের করতে হবে।
তাহলে চলুন আমরা অনার্সের 4 বছরের রেজাল্ট বের করার মাধ্যমে বিষয়টি বুঝে নিই-
অনার্স প্রথম বর্ষঃ
এখন চলুন আমরা উদাহরণের সাহায্যে বুঝে নিই কিভাবে অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষার
জন্য গ্রেড পয়েন্ট বের করবেন-
ধরুন,
- আপনি প্রথম সাবজেক্টে পেয়েছেন B
- দ্বিতীয় সাবজেক্টে পেয়েছেন B-
- তৃতীয় সাবজেক্টে পেয়েছেন B
- চতুর্থ সাবজেক্টে পেয়েছেন B+
- পঞ্চম সাবজেক্টে পেয়েছেন B-
- এবং সর্বশেষ সাবজেক্ট পেয়েছেন C+
নোটঃ মনে রাখবেন অনার্স প্রথম বর্ষ থেকে শুরু করে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
কোন ফোর্থ সাবজেক্ট থাকে না।
এখন আপনাকে প্রতিটি সাবজেক্টের ক্রেডিট বের করতে হবে। প্রতিটি সাবজেক্ট এর
ক্রেডিট বের করার নিয়ম হচ্ছেঃ
-
আপনি যে সাবজেক্টে 100 মার্কের পরীক্ষা দিবেন সেই সাবজেক্ট এর ক্রেডিট হবে
4
-
এবং আপনি যে সাবজেক্টকে 50 মার্কের পরীক্ষা দিবেন সেই সাবজেক্টের ক্রেডিট
হবে 2
👉শুধু এইটুকু বিষয় মনে রাখলেই আপনি কোন ঝামেলা ছাড়াই প্রতিটি সাবজেক্টের
ক্রেডিটের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল বের করতে পারবেন। 👈
তাহলে ক্রেডিট এর মাধ্যমে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হবে-
-
প্রথম সাবজেক্টে (B)= 3*4 =12 (Note: এই সাবজেক্টে 100 মার্কের
পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
দ্বিতীয় সাবজেক্টে (B-)= 2.75*4 =11 (Note: এই সাবজেক্টে 100
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
তৃতীয় সাবজেক্টে (B)= 3*4 =12 (Note: এই সাবজেক্টে 100 মার্কের
পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
চতুর্থ সাবজেক্টে (B+)= 3.25*2 =6.5 (Note:
এই সাবজেক্টে 50 মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 2)
-
পঞ্চম সাবজেক্টে (B-)= 2.75*4 =11 (Note: এই সাবজেক্টে 100 মার্কের
পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
সর্বশেষ সাবজেক্ট (C+)= 2.50*4 =10 (Note: এই সাবজেক্টে 100 মার্কের
পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
### তাহলে আমার টোটাল আর্নিং ক্রেডিট হল (12+11+12+6.5+11+10)= 62.5
### এবং আমার ক্রেডিট গুলোর যোগফল হল (4+4+4+2+4+4)= 22 (Note:
2 এর অর্থ হল
ওই সাবজেক্ট 50 মার্কের)
এখন আমরা একটি সূত্রের মাধ্যমে টোটাল গ্রেড পয়েন্ট বের করব খুব সহজে।
টোটাল আর্নিং ক্রেডিট
সূত্রঃ ----------------------------
ক্রেডিট গুলোর যোগফল
62.5
= -------
22
= 2.84 GPA (Honers 1st Year)
এভাবে আপনাকে সর্বপ্রথম পর্যায়ক্রমিকভাবে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ, তৃতীয়
বর্ষ এবং চতুর্থ বর্ষের রেজাল্ট বের করে নিতে হবে। তাহলে চলুন আমরা এখন
অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের রেজাল্ট বের করি। সকল বর্ষের জিপিএ গ্রেড পয়েন্ট
রেজাল্ট বের করার পরে আমরা সিজিপিএ গ্রেড পয়েন্ট বের করব।
অনার্স দ্বিতীয় বর্ষঃ
এখন চলুন আমরা উদাহরণের সাহায্যে বুঝে নিই কিভাবে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ
পরীক্ষার জন্য গ্রেড পয়েন্ট বের করবেন-
ধরুন,
- আপনি প্রথম সাবজেক্টে পেয়েছেন B+
- দ্বিতীয় সাবজেক্টে পেয়েছেন A+
- তৃতীয় সাবজেক্টে পেয়েছেন A-
- চতুর্থ সাবজেক্টে পেয়েছেন A-
- পঞ্চম সাবজেক্টে পেয়েছেন B+
- ষষ্ঠ সাবজেক্টে পেয়েছেন A
- এবং সপ্তম সাবজেক্টে পেয়েছেন B-
নোটঃ মনে রাখবেন অনার্স প্রথম বর্ষ থেকে শুরু করে চতুর্থ
বর্ষ পর্যন্ত কোন ফোর্থ সাবজেক্ট থাকে না।
তাহলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হবে-
-
প্রথম সাবজেক্টে (B+) = 3.25*4 =13 (Note: এই সাবজেক্টে 100
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
দ্বিতীয় সাবজেক্টে (A+) = 4*4 =16 (Note: এই সাবজেক্টে 100
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
তৃতীয় সাবজেক্টে (A-) = 3.50*4 =14 (Note: এই সাবজেক্টে 100
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
চতুর্থ সাবজেক্টে (A-) = 3.50*4 =14 (Note: এই সাবজেক্টে 100
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
পঞ্চম সাবজেক্টে (B+) = 3.25*4 =13 (Note: এই সাবজেক্টে
100 মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
ষষ্ঠ সাবজেক্টে (A) = 3.75*4 =15 (Note: এই সাবজেক্টে 100 মার্কের
পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
সর্বশেষ সাবজেক্ট (B-) = 2.75*4 =11 (Note: এই সাবজেক্টে 100
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
### এখানে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আমি সেকেন্ড ইয়ারে
সবগুলো সাবজেক্টে 100 মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই এখানে সকল সাবজেক্টের
ক্রেডিট 4 ###
### তাহলে আমার টোটাল আর্নিং ক্রেডিট হল (13+16+14+14+13+15+11)= 96
### এবং আমার ক্রেডিট গুলোর যোগফল হল (4+4+4+4+4+4+4)= 28 (Note: সবগুলো জায়গায় 4 এর অর্থ হল ওই সাবজেক্ট 100 মার্কের)
এখন আমরা একটি সূত্রের মাধ্যমে টোটাল গ্রেড পয়েন্ট বের করব খুব
সহজে।
টোটাল আর্নিং ক্রেডিট
সূত্রঃ ----------------------------
ক্রেডিট গুলোর যোগফল
96
= -------
28
= 3.428 বা 3.43 GPA (Honers 2nd Year)
চলুন আমরা এখন অনার্সের তৃতীয় বর্ষের জিপিএ বের করি-
অনার্স তৃতীয় বর্ষঃ
এখন আমরা উদাহরণের সাহায্যে বুঝে নিব কিভাবে অনার্স তৃতীয় বর্ষ পরীক্ষার
জন্য গ্রেড পয়েন্ট বের করবেন-
ধরুন,
- আপনি প্রথম সাবজেক্টে পেয়েছেন A-
- দ্বিতীয় সাবজেক্টে পেয়েছেন A-
- তৃতীয় সাবজেক্টে পেয়েছেন B
- চতুর্থ সাবজেক্টে পেয়েছেন B+
- পঞ্চম সাবজেক্টে পেয়েছেন B-
- ষষ্ঠ সাবজেক্ট পেয়েছেন A
- সপ্তম সাবজেক্টে পেয়েছেন B+
- এবং সবশেষে অষ্টম সাবজেক্টে পেয়েছেন A-
নোটঃ মনে রাখবেন অনার্স প্রথম বর্ষ থেকে শুরু করে চতুর্থ
বর্ষ পর্যন্ত কোন ফোর্থ সাবজেক্ট থাকে না।
তাহলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হবে-
-
প্রথম সাবজেক্টে (A-) = 3.50*4 =14 (Note: এই সাবজেক্টে
100 মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
দ্বিতীয় সাবজেক্টে (A-) = 3.50*4=14 (Note: এই
সাবজেক্টে 100 মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
তৃতীয় সাবজেক্টে (B) = 3*4 =12 (Note: এই সাবজেক্টে 100
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
চতুর্থ সাবজেক্টে (B+) = 3.25*2 =6.5 (Note: এই সাবজেক্টে 50 মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে
২)
-
পঞ্চম সাবজেক্টে (B-) = 2.75*4 =11 (Note: এই সাবজেক্টে 100
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
ষষ্ঠ সাবজেক্টে (A) = 3.75*4 =15 (Note: এই
সাবজেক্টে 100 মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
সপ্তম সাবজেক্ট (B+) = 3.25*2 =6.5
(Note: এই সাবজেক্টে 50
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে ২)
-
অষ্টম সাবজেক্টে (A-) = 3.50*4 =14 (Note: এই সাবজেক্টে 100
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
### এখানে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আমি সেকেন্ড
ইয়ারে 2 সাবজেক্ট বাদ দিয়ে সবগুলোতে 100 মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি
অর্থাৎ শুধুমাত্র 2 সাবজেক্টে 50 মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি এজন্য ওই
2 সাবজেক্টের জায়গায় ক্রেডিট হবে 2 ###
### তাহলে আমার টোটাল আর্নিং ক্রেডিট হল
(14+14+12+6.5+11+15+6.5+14)= 93
### এবং আমার ক্রেডিট গুলোর যোগফল হল (4+4+4+2+4+4+2+4)= 28
(Note: 2 এর অর্থ হল
ওই সাবজেক্ট 50 মার্কের)
এখন আমরা একটি সূত্রের মাধ্যমে টোটাল গ্রেড পয়েন্ট বের করব খুব
সহজে।
টোটাল আর্নিং
ক্রেডিট
সূত্রঃ ----------------------------
ক্রেডিট গুলোর
যোগফল
93
= -------
28
= 3.32 GPA (Honers 3rd Year)
আমাদের তৃতীয় বর্ষের রেজাল্ট বের করাও শেষ হয়ে গেছে তাই এখন আমরা সবশেষে
চতুর্থ বর্ষের রেজাল্ট বের করব এবং তারপর সমস্ত বর্ষ মিলে মোট সিজিপিএ বের
করব। তাই আর্টিকেলটি মাঝপথে পড়তে পড়তে চলে যাবেন না। যদি আর্টিকেলটি
পুরোটা না পড়েন তাহলে যে কোন এক জায়গায় আপনি ভুল করে ফেলতে পারেন।
চলুন আমরা এখন অনার্সের চতুর্থ বর্ষের জিপিএ বের করি-
অনার্স চতুর্থ বর্ষঃ
এখন চলুন আমরা উদাহরণের সাহায্যে বুঝে নিই কিভাবে অনার্স চতুর্থ বর্ষ
পরীক্ষার জন্য গ্রেড পয়েন্ট বের করবেন-
ধরুন,
- আপনি প্রথম সাবজেক্টে পেয়েছেন A-
- দ্বিতীয় সাবজেক্টে পেয়েছেন A-
- তৃতীয় সাবজেক্টে পেয়েছেন B+
- চতুর্থ সাবজেক্টে পেয়েছেন A-
- পঞ্চম সাবজেক্টে পেয়েছেন B+
- ষষ্ঠ সাবজেক্ট পেয়েছেন A+
- সপ্তম সাবজেক্টে পেয়েছেন B
- অষ্টম সাবজেক্টে পেয়েছেন B
- নবম সাবজেক্টে পেয়েছেন C+
- এবং দশম সাবজেক্টে পেয়েছেন A+
নোটঃ মনে রাখবেন অনার্স প্রথম বর্ষ থেকে শুরু করে চতুর্থ
বর্ষ পর্যন্ত কোন ফোর্থ সাবজেক্ট থাকে না।
তাহলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হবে-
-
প্রথম সাবজেক্টে (A-) = 3.50*4 =14 (Note: এই সাবজেক্টে
100 মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
দ্বিতীয় সাবজেক্টে (A-) = 3.50*4 =14 (Note: এই
সাবজেক্টে 100 মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
তৃতীয় সাবজেক্টে (B+) = 3.25*4 = 13 (Note: এই
সাবজেক্টে 100 মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
চতুর্থ সাবজেক্টে (A-) = 3.50*4 = 14 (Note: এই
সাবজেক্টে 100 মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
পঞ্চম সাবজেক্টে (B+) = 2.25*4 = 9 (Note: এই সাবজেক্টে 100
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
ষষ্ঠ সাবজেক্টে (A+) = 4*4 = 16 (Note: এই
সাবজেক্টে 100 মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
সপ্তম সাবজেক্ট (B) = 3*4 = 12 (Note: এই সাবজেক্টে
100 মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
অষ্টম সাবজেক্টে (B) = 3*4 = 12 (Note: এই সাবজেক্টে 100
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
নবম সাবজেক্টে (C+) = 2.50*4 =10 (Note: এই সাবজেক্টে 100
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
এবং দশম সাবজেক্টে (A+) = 4*4 =16 (Note: এই সাবজেক্টে 100
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
### এখানে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আমি ফোর্থ বা
ফাইনাল ইয়ারে আমি সবগুলো সাবজেক্ট এই 100 মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি
তাই এখানে সকল সাবজেক্টের ক্রেডিট 4 ###
### তাহলে আমার টোটাল আর্নিং ক্রেডিট হল
(14+14+13+14+9+16+12+12+10+16)= 130
### এবং আমার ক্রেডিট গুলোর যোগফল হল (4+4+4+4+4+4+4+4+4+4)= 40
(Note: সবগুলো
জায়গায় 4 এর অর্থ হল ওই সাবজেক্ট 100 মার্কের)
এখন আমরা একটি সূত্রের মাধ্যমে টোটাল গ্রেড পয়েন্ট বের করব
খুব সহজে।
টোটাল আর্নিং
ক্রেডিট
সূত্রঃ -------------------------------
ক্রেডিট গুলোর
যোগফল
130
= -------
40
= 3.25 GPA (Honers 4rt or final Year)
অবশেষে আমরা অনার্স প্রথম বর্ষ থেকে শেষ বর্ষ পর্যন্ত সকল জিপিএ বের করলাম।
এখন আমরা এই জিপিএ থেকে অনার্স সমস্ত বছরের সিজিপিএ বের করব।
অনার্স বা ডিগ্রী পরীক্ষার সিজিপিএ বের করার সূত্র নিম্নরূপঃ
টোটাল আর্নিং ক্রেডিট ( First
Year+2nd Year+3rd Year+4rth Year)
সূত্রঃ ---------------------------------------------------------------------------------
টোটাল ক্রেডিট ( First
Year+2nd Year+3rd Year+4rth Year)
62.5 + 96 + 93 + 130
= ---------------------------
22 + 28 + 28 + 40
381.5
= -------
118
= 3.23 CGPA
এভাবে আপনারা খুব সহজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স বা ডিগ্রী বা
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের 4 বছরের CGPA বের করতে পারবেন। আমি আবারো বলছি
এই প্রসেসটি খুবই সহজ একটি প্রসেস। আপনি আর অন্য কোন আর্টিকেলে এত সহজভাবে
সিজিপিএ বের করার নিয়ম জানতে পারবেন না। তাই খুব ধীরে মনোযোগ দিয়ে
আর্টিকেলটি যদি একবার পড়ে ফেলেন তাহলে আপনি খুব সহজে এই বিষয়টি বুঝতে
পারবেন। দেখুন অন্যান্য ভিডিও বা আর্টিকেলে শুধুমাত্র একটি বছরের সিজিপিএ
বের করা শেখায়, সেখানে আমি আপনাদের চারটি বছরের কিভাবে একবারে
ক্যালকুলেটারে হিসাব করবেন তা শিখিয়েছি, এজন্য আর্টিকেলটি একটু বড়
হয়েছে।
মাস্টার্স(Masters) জিপিএ বের করার নিয়ম | মাস্টার্স প্রিলিমিনারি | মাস্টার্স
ফাইনাল সিজিপিএ বের করার নিয়ম
মাস্টার্স(Masters) সিজিপিএ বের করার নিয়ম এবং অনার্সের(Honers) সিজিপিএ বের
করার নিয়ম একই অর্থাৎ আপনি যদি আমার এই আর্টিকেল থেকে অনার্সের রেজাল্ট বের করার
নিয়ম শিখে নেন তাহলে মাস্টার্সের রেজাল্ট একই নিয়মে বের করতে পারবেন।
মাস্টার্স(Masters) জিপিএ বের করার নিয়ম, মাস্টার্স প্রিলিমিনারি, মাস্টার্স
ফাইনাল সিজিপিএ বের করার নিয়ম জানার জন্য আপনাকে পূর্বের মতই সর্বপ্রথম
লেটার গ্রেড, ক্লাস ইন্টারভাল বা মার্ক রেঞ্জ এবং গ্রেট পয়েন্ট জানতে
হবে।
লেটার গ্রেড |
ক্লাস ইন্টারভাল বা মার্ক রেঞ্জ |
গ্রেট পয়েন্ট |
ডিভিশন |
A+ |
80-100 |
4.00 |
1st Class |
A |
75-79 |
3.75 |
1st Class |
A- |
70-74 |
3.50 |
1st Class |
B+ |
65-69 |
3.25 |
1st Class |
B |
60-64 |
3.00 |
1st Class |
B- |
55-59 |
2.75 |
2nd Class |
C+ |
50-54 |
2.50 |
2nd Class |
C |
45-49 |
2.25 |
2nd Class |
D |
40-44 |
2.00 |
3rd Class |
F |
0-43 |
0.00 |
Fail |
যদি মাস্টার্স এক বছরের হয় তাহলে সিজিপিএ বের করার নিয়ম নিম্নরূপ নিচে
দেওয়া হলঃ
এখন চলুন আমরা উদাহরণের সাহায্যে বুঝে নিই কিভাবে মাস্টার্স এক বছরের পরীক্ষার
জন্য সিজিপিএ পয়েন্ট বের করবেন-
মনে রাখবেন মাস্টার্স যেটি এক বছরের সে বছরের ফলাফল জিপিএ এবং সিজিপিএ একই
থাকবে কারণ এখানে মাত্র একটি বর্ষের রেজাল্ট বের করতে হয়। কারণ যারা অনার্স
শেষ করে তাদের শুধুমাত্র এক বছর মাস্টার্স করলেই হয় কিন্তু যারা তিন বছরের
ডিগ্রি শেষ করে তাদেরকে দুই বছরের মাস্টার্স করতে হয়।
ধরুন,
- আপনি প্রথম সাবজেক্টে পেয়েছেন A-
- দ্বিতীয় সাবজেক্টে পেয়েছেন A-
- তৃতীয় সাবজেক্টে পেয়েছেন B
- চতুর্থ সাবজেক্টে পেয়েছেন B+
- পঞ্চম সাবজেক্টে পেয়েছেন B-
- ষষ্ঠ সাবজেক্ট পেয়েছেন A
- সপ্তম সাবজেক্টে পেয়েছেন B+
- এবং সবশেষে অষ্টম সাবজেক্টে পেয়েছেন A-
এখন আপনাকে প্রতিটি সাবজেক্টের ক্রেডিট বের করতে হবে অর্থাৎ অনার্সের
পরীক্ষা গুলোতে যেভাবে ক্রেডিট বের করেছেন সেম একইভাবে এখানে বের করতে
হবে। প্রতিটি সাবজেক্ট এর ক্রেডিট বের করার নিয়ম হচ্ছেঃ
-
আপনি যে সাবজেক্টে ১০০ মার্কের পরীক্ষা দিবেন সেই সাবজেক্ট এর
ক্রেডিট হবে 4
-
এবং আপনি যে সাবজেক্টকে ৫০ মার্কের পরীক্ষা দিবেন সেই সাবজেক্টের
ক্রেডিট হবে 2
👉শুধু এইটুকু বিষয় মনে রাখলেই আপনি কোন ঝামেলা ছাড়াই প্রতিটি
সাবজেক্ট ক্রেডিটের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল বের করতে পারবেন। 👈
নোটঃ মনে রাখবেন মাস্টার্স ফাইনাল বর্ষে টার্ম পেপারে ৫০ মার্ক
থাকে এবং ভাইভাতে ৫০ মার্ক থাকে। আর আমরা পূর্বে জেনেছি ৫০ মার্কেট পরীক্ষা
দিলে ক্রেডিট হবে 2
তাহলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হবে-
-
প্রথম সাবজেক্টে (A-) = 3.50*4 =14 (Note: এই সাবজেক্টে ১০০
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
দ্বিতীয় সাবজেক্টে (A-) = 3.50*4=14 (Note: এই সাবজেক্টে ১০০
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
তৃতীয় সাবজেক্টে (B) = 3*4 =12 (Note: এই সাবজেক্টে ১০০
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
চতুর্থ সাবজেক্টে (B+) = 3.25*2 =6.5 (Note: এই সাবজেক্টে ৫০ মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি টার্ম পেপারের জন্য তাই
ক্রেডিট হবে 2)
-
পঞ্চম সাবজেক্টে (B-) = 2.75*4 =11 (Note: এই সাবজেক্টে ১০০ মার্কের
পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
ষষ্ঠ সাবজেক্টে (A) = 3.75*4 =15 (Note: এই সাবজেক্টে ১০০
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
সপ্তম সাবজেক্ট (B+) = 3.25*2 =6.5 (Note: এই সাবজেক্টে ৫০ মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি ভাইভার জন্য তাই
ক্রেডিট হবে 2)
-
অষ্টম সাবজেক্টে (A-) = 3.50*4 =14 (Note: এই সাবজেক্টে ১০০ মার্কের
পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
### এখানে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আমি মাস্টার্স ফাইনাল
ইয়ারে 2 সাবজেক্ট বাদ দিয়ে সবগুলোতে ১০০ মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি
অর্থাৎ শুধুমাত্র 2 সাবজেক্টে ৫০ মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি এজন্য ওই 2
সাবজেক্টের জায়গায় ক্রেডিট হবে 2 ###
### তাহলে আমার টোটাল আর্নিং ক্রেডিট হল (14+14+12+6.5+11+15+6.5+14)=
93
### এবং আমার ক্রেডিট গুলোর যোগফল হল (4+4+4+2+4+4+2+4)= 28 (Note: 2 এর অর্থ হল
ওই সাবজেক্ট ৫০ মার্কের)
এখন আমরা একটি সূত্রের মাধ্যমে টোটাল গ্রেড পয়েন্ট বের করব খুব সহজে।
টোটাল আর্নিং ক্রেডিট
সূত্রঃ ----------------------------
ক্রেডিট গুলোর যোগফল
93
= -------
28
= 3.32 GPA or CGPA (Masters Final)
এখানে ভালোভাবে লক্ষ্য করুন জিপিএ এবং সিজিপিএ একই নাম্বার কারণ যারা এক
বছরের জন্য মাস্টার্স করেন এটা শুধু তাদের জন্য। এখন আমরা শিখব কিভাবে ২
বছরের মাস্টার্সের জিপিএ এবং সিজিপিএ বের করতে হয়।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ যারা
মাস্টার্স দুই বছরের জন্য করেন তাদের নিচের নিয়মটি ফলো করতে হবে আর যারা
মাস্টার্স এক বছরের জন্য করেছেন তাদের নিচের নিয়মটি ফলো করার দরকার
নেই।
মাস্টার্স প্রথম বর্ষ বা মাস্টার্স প্রিলিমিনারি
এখন চলুন আমরা উদাহরণের সাহায্যে বুঝে নিই কিভাবে মাস্টার্স প্রথম বর্ষ
বা মাস্টার্স প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য গ্রেড পয়েন্ট বের করবেন-
ধরুন,
- আপনি প্রথম সাবজেক্টে পেয়েছেন A-
- দ্বিতীয় সাবজেক্টে পেয়েছেন A-
- তৃতীয় সাবজেক্টে পেয়েছেন B
- চতুর্থ সাবজেক্টে পেয়েছেন B+
- পঞ্চম সাবজেক্টে পেয়েছেন B-
- ষষ্ঠ সাবজেক্ট পেয়েছেন A
- সপ্তম সাবজেক্টে পেয়েছেন B+
- এবং সবশেষে অষ্টম সাবজেক্টে পেয়েছেন A-
এখন আপনাকে প্রতিটি সাবজেক্টের ক্রেডিট বের করতে হবে অর্থাৎ অনার্সের
পরীক্ষা গুলোতে যেভাবে ক্রেডিট বের করেছেন সেম একইভাবে এখানে বের করতে
হবে। প্রতিটি সাবজেক্ট এর ক্রেডিট বের করার নিয়ম হচ্ছেঃ
-
আপনি যে সাবজেক্টে ১০০ মার্কের পরীক্ষা দিবেন সেই সাবজেক্ট এর
ক্রেডিট হবে 4
-
এবং আপনি যে সাবজেক্টকে ৫০ মার্কের পরীক্ষা দিবেন সেই সাবজেক্টের
ক্রেডিট হবে 2
👉শুধু এইটুকু বিষয় মনে রাখলেই আপনি কোন ঝামেলা ছাড়াই প্রতিটি
সাবজেক্টের ক্রেডিটের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল বের করতে পারবেন। 👈
তাহলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হবে-
-
প্রথম সাবজেক্টে (A-) = 3.50*4 =14 (Note: এই সাবজেক্টে ১০০
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
দ্বিতীয় সাবজেক্টে (A-) = 3.50*4=14 (Note: এই সাবজেক্টে
১০০ মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
তৃতীয় সাবজেক্টে (B) = 3*4 =12 (Note: এই সাবজেক্টে ১০০
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
চতুর্থ সাবজেক্টে (B+) = 3.25*2 =6.5 (Note: এই সাবজেক্টে ৫০ মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 2)
-
পঞ্চম সাবজেক্টে (B-) = 2.75*4 =11 (Note: এই সাবজেক্টে ১০০
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
ষষ্ঠ সাবজেক্টে (A) = 3.75*4 =15 (Note: এই সাবজেক্টে
১০০ মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
সপ্তম সাবজেক্ট (B+) = 3.25*2 =6.5 (Note: এই সাবজেক্টে ৫০ মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 2)
-
অষ্টম সাবজেক্টে (A-) = 3.50*4 =14 (Note: এই সাবজেক্টে ১০০
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
### এখানে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আমি মাস্টার্স প্রথম
বর্ষে 2 সাবজেক্ট বাদ দিয়ে সবগুলোতে ১০০ মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি
অর্থাৎ শুধুমাত্র 2 সাবজেক্টে ৫০ মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি এজন্য ওই 2
সাবজেক্টের জায়গায় ক্রেডিট হবে 2 ###
### তাহলে আমার টোটাল আর্নিং ক্রেডিট হল
(14+14+12+6.5+11+15+6.5+14)= 93
### এবং আমার ক্রেডিট গুলোর যোগফল হল (4+4+4+2+4+4+2+4)= 28 (Note: 2 এর অর্থ হল
ওই সাবজেক্ট ৫০ মার্কের)
এখন আমরা একটি সূত্রের মাধ্যমে টোটাল গ্রেড পয়েন্ট বের করব খুব সহজে।
টোটাল আর্নিং ক্রেডিট
সূত্রঃ ----------------------------
ক্রেডিট গুলোর যোগফল
93
= -------
28
= 3.32 GPA (Masters 1st year or preliminary)
এখন আমরা মাস্টার্স দ্বিতীয় বর্ষ বা মাস্টার্স ফাইনাল এর রেজাল্ট বের করব
তারপর দুই বর্ষের রেজাল্ট মিলিয়ে সিজিপিএ বের করব।
মাস্টার্স দ্বিতীয় বর্ষ বা মাস্টার্স ফাইনাল
এখন চলুন আমরা উদাহরণের সাহায্যে বুঝে নিই কিভাবে মাস্টার্স দ্বিতীয় বর্ষ
বা মাস্টার্স ফাইনাল বর্ষ পরীক্ষার জন্য গ্রেড পয়েন্ট বের করবেন-
ধরুন,
- আপনি প্রথম সাবজেক্টে পেয়েছেন A-
- দ্বিতীয় সাবজেক্টে পেয়েছেন A-
- তৃতীয় সাবজেক্টে পেয়েছেন B+
- চতুর্থ সাবজেক্টে পেয়েছেন A-
- পঞ্চম সাবজেক্টে পেয়েছেন B+
- ষষ্ঠ সাবজেক্ট পেয়েছেন A+
- সপ্তম সাবজেক্টে পেয়েছেন B
- অষ্টম সাবজেক্টে পেয়েছেন B
- নবম সাবজেক্টে পেয়েছেন C+
- এবং দশম সাবজেক্টে পেয়েছেন A+
তাহলে আপনার গ্রেড পয়েন্ট হবে-
-
প্রথম সাবজেক্টে (A-) = 3.50*4 =14 (Note: এই সাবজেক্টে
১০০ মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
দ্বিতীয় সাবজেক্টে (A-) = 3.50*4 =14 (Note: এই সাবজেক্টে
১০০ মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
তৃতীয় সাবজেক্টে (B+) = 3.25*4 = 13 (Note: এই সাবজেক্টে
১০০ মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
চতুর্থ সাবজেক্টে (A-) = 3.50*4 = 14 (Note: এই সাবজেক্টে
১০০ মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
পঞ্চম সাবজেক্টে (B+) = 2.25*4 = 9 (Note: এই সাবজেক্টে ১০০
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
ষষ্ঠ সাবজেক্টে (A+) = 4*4 = 16 (Note: এই সাবজেক্টে
১০০ মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
সপ্তম সাবজেক্ট (B) = 3*4 = 12 (Note: এই সাবজেক্টে
১০০ মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
অষ্টম সাবজেক্টে (B) = 3*4 = 12 (Note: এই সাবজেক্টে ১০০
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
নবম সাবজেক্টে (C+) = 2.50*4 =10 (Note: এই সাবজেক্টে ১০০
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
-
এবং দশম সাবজেক্টে (A+) = 4*4 =16 (Note: এই সাবজেক্টে ১০০
মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি তাই ক্রেডিট হবে 4)
### এখানে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আমি ফোর্থ বা
ফাইনাল ইয়ারে আমি সবগুলো সাবজেক্ট এই ১০০ মার্কের পরীক্ষা দিয়েছি
তাই এখানে সকল সাবজেক্টের ক্রেডিট 4 ###
### তাহলে আমার টোটাল আর্নিং ক্রেডিট হল
(14+14+13+14+9+16+12+12+10+16)= 130
### এবং আমার ক্রেডিট গুলোর যোগফল হল (4+4+4+4+4+4+4+4+4+4)= 40
(Note: সবগুলো জায়গায়
4 এর অর্থ হল ওই সাবজেক্ট 100 মার্কের)
এখন আমরা একটি সূত্রের মাধ্যমে টোটাল গ্রেড পয়েন্ট বের করব
খুব সহজে।
টোটাল আর্নিং ক্রেডিট
সূত্রঃ -------------------------------
ক্রেডিট গুলোর যোগফল
130
= -------
40
= 3.25 GPA (Masters final)
যারা দুই বছরের জন্য মাস্টার্স করেন তাদের সিজিপি বের করার নিয়ম আমরা এখন
জানবো। এখন আমরা ইতিমধ্যেই মাস্টার্স প্রথম বর্ষ বা প্রিলিমিনারি এবং
মাস্টার্স দ্বিতীয় বর্ষ বা ফাইনালের জিপিএ বের করে নিয়েছি। এখন আমরা জিপিএ
থেকেই সিজিপিএ বের করব।
সিজিপিএ বের করার সূত্র নিম্নরূপঃ
টোটাল আর্নিং ক্রেডিট ( First
Year+2nd Year)
সূত্রঃ --------------------------------------------------------------------------
টোটাল ক্রেডিট ( First
Year+2nd Year)
93 + 130
= -----------
28 + 40
223
= -------
68
= 3.28 CGPA
এই ছিল বাংলাদেশের সকল পরীক্ষার GPA CGPA বের করার টেকনিন। আর্টিকেলটি একটু
বড় হয়ে গেছে কারণ আমি এই আর্টিকেলে একটু সহজ ভাবে প্রত্যেকটি বিষয় বর্ণনা
করার চেষ্টা করেছি। শুধুমাত্র একটি বর্ষের রেজাল্ট বের করার মাধ্যমে কখনো
আপনি ভালোভাবে এ বিষয়টি শিখতে পারবেন না। তাই আমি প্রত্যেকটি পরীক্ষার জিপিএ
এবং সিজিপিএ বের করে দেখেছি, ঠিক এই জন্যই আর্টিকেলটি একটু বড় হয়েছে কিন্তু
আপনারা যদি এই একটি মাত্র নিয়ম একবার শিখে যান তাহলে আপনাদের সারা জীবন মনে
থাকবে বাংলাদেশের সকল রেজাল্ট বের করার নিয়ম সম্পর্কে।
FAQ: বাংলাদেশের সকল পরীক্ষার GPA CGPA বের করার টেকনিন
মার্কস থেকে গ্রেড পয়েন্ট কিভাবে বের করব?
মার্ক থেকে গ্রেড পয়েন্ট বের করার নিয়ম একদমই সহজ এজন্য আপনাকে একটি
সুত্রের সাহায্য নিতে হবে। সূত্রটি হচ্ছেঃ টোটাল গ্রেড পয়েন্ট (ফোর্থ
সাবজেক্ট সহ) সূত্রঃ
--------------------------------------------------- টোটাল সাবজেক্ট
(ফোর্থ সাবজেক্ট বাদে)
D তে কত পয়েন্ট?
জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসির ক্ষেত্রে D তে 2 পয়েন্ট ধরা হয় কিন্তু
অনার্স এবং মাস্টার্সের ক্ষেত্রে D তে 1 পয়েন্ট ধরা হয়।
জিপিএ বের করার উপায়?
জিপিএ বের করার উপায় হচ্ছে দুটি। জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসির জিপিএ বের
করার উপায়ঃ টোটাল গ্রেড পয়েন্ট (ফোর্থ সাবজেক্ট সহ) সূত্রঃ
--------------------------------------------------- টোটাল সাবজেক্ট
(ফোর্থ সাবজেক্ট বাদে) অনার্স এবং মাস্টার্স জিপিএ বের করার উপায়ঃ টোটাল
আর্নিং ক্রেডিট সূত্রঃ ------------------------------- ক্রেডিট গুলোর
যোগফল
সিজিপিএ পয়েন্ট কিভাবে বের করব?
অনার্স এবং মাস্টার্স এর সিজিপিএ পয়েন্ট বের করার একটি মাত্র সূত্র
রয়েছে নিম্নে সূত্রটি দেওয়া হলোঃ টোটাল আর্নিং ক্রেডিট সূত্রঃ
------------------------------- ক্রেডিট গুলোর যোগফল
GPA এর ফুল মিনিং কি?
GPA এর ফুল মিনিং হচ্ছে (Grade Point Average)।
CGPA এর ফুল মিনিং কি?
CGPA এর ফুল মিনিং হচ্ছে (Cumulative Grade Point Average)।
শেষ মন্তব্য
বাংলাদেশের সকল পরীক্ষার GPA CGPA বের করার টেকনিন সবগুলো নিয়ম একই হয় কিন্তু
বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং ভিডিওতে আমরা বিভিন্ন বিভিন্ন নিয়ম দেখতে পাই যার কারণে
আমাদের মাথায় এ বিষয়টি ক্যাচ করে না। অথচ সামান্য দুই তিনটি সূত্র মনে রাখলেই
আপনি গোটা বাংলাদেশের যেকোনো পরীক্ষার রেজাল্ট যে কাউকে বের করে দিতে পারবেন।
তাই আমি অনেক কষ্ট করে আজকে আপনাদের জন্য এই আর্টিকেলটি লিখলাম। আমি আশা করছি
আপনাদের এই আর্টিকেল থেকে অনেক উপকার হবে। এরকম আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।