শীতের দিনে চুলের যত্ন | শীতের সময় চুলের যত্ন

শীতের দিনে চুলের যত্ন নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ শীতের সময় চুল নষ্ট হয়ে যায়। শীতকালে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা দেখা দেয় তা হলো চুলের শুষ্কতা এবং ভাঙ্গন। শীতকালে ঠান্ডা এবং শুষ্ক বাতাস চুলের আর্দ্রতা শুষে নেয় এবং চুলের কিউটিকলগুলোকে দুর্বল করে দেয়। ফলস্বরূপ চুল শুষ্ক, ভঙ্গুর এবং নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এমনকি চুল পড়ার সমস্যা বৃদ্ধি পায়। তবে শীতের সময় চুলের যত্ন সঠিকভাবে নিলে আপনি আপনার চুলকে সুস্থ এবং মজবুত রাখতে পারবেন।

শীতের-দিনে-চুলের-যত্ন
এখন প্রশ্ন হলো, শীতকালে চুলের যত্ন কীভাবে নিতে হবে? এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করবো শীতের সময় চুলের যত্নের সঠিক পদ্ধতি, প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার এবং কিছু কার্যকরী টিপস যা চুলকে সুস্থ, সুন্দর, মোলায়েম রাখতে সাহায্য করবে।


এছাড়া এই আর্টিকেলটি থেকে আপনারা জানতে পারবেন - মেয়েদের শীতের দিনে চুলের যত্ন, ছেলেদের শীতের দিনে চুলের যত্ন, শীতের দিনে চুলের যত্ন ঘরোয়া পদ্ধতির উপায় সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং শীতের দিনে চুল ভালো রাখার অতিরিক্ত কিছু টিপস এন্ড ট্রিকস। তাহলে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নিন কীভাবে শীত কালে চুলের যত্ন সঠিকভাবে নেওয়া যায় সে সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ শীতের দিনে চুলের যত্ন | শীতের সময় চুলের যত্ন

শীতের দিনে চুলের যত্ন | শীতের সময় চুলের যত্ন

শীতের সময় চুলের যত্ন একটু বেশি নেওয়া জরুরি। শীতের সময় চুলের যত্ন নেওয়া একটু কঠিন হলেও সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনি আপনার চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা এবং চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারবেন। শীতের দিনে চুল পড়ার সমস্যা অতিরিক্ত হারে বেড়ে যেতে দেখা যায়। তবে শীতের দিনে সঠিক নিয়মে চুলের যত্ন নিলে আপনি আপনার চুলকে খুব সহজেই সুস্থ এবং মজবুত রাখতে পারবেন।
শীতের-সময়-চুলের-যত্ন
চলুন প্রথমে আমরা জেনে নিই শীতের সময়ে চুলের কি কি সমস্যা হয় সে সম্পর্কে।

শীতের দিনে চুলের সমস্যা সমুহঃ
ঠান্ডা এবং শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে চুলের গঠন পরিবর্তন হয়ে যায়।
চুল শুষ্ক হয়ে যায়।
চুল ভেঙে যায়। বিশেষ করে চুলের আগা বেশি ভেঙ্গে যায়।
চুলে জটলা পেকে যায়।
চুল পড়ে যায়।
মাথার ত্বকে সমস্যা সৃষ্টি হয়। যেমনঃ অ্যালার্জি।
চুলের স্বাভাবিক কালার ঠিক থাকেনা।
চুলে খুশকি বেড়ে যায়।
শীতের সময় চুল বেশি অপরিষ্কার হয়ে যাবার ফলে চুলে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।
মাথার ত্বক চুলকায়।

শীতের দিনে চুলের এই সকল সমস্যা গুলো সাধারণত বেশি লক্ষ্য করা যায়। এজন্য আপনারা যদি এই আর্টিকেলে নিচের দেখানো পদ্ধতি গুলো মেনে চলেন তাহলে শীতের সময় চুলের যত্ন সঠিকভাবে নিতে পারবেন এবং উপরের যত সমস্যা সম্পর্কে আমি আলোচনা করেছি এই সবগুলো সমস্যা আপনারা দূর করতে পারবেন।

শীতের দিনে চুলের যত্ন নেওয়ার উপায়ঃ

১) চুলের জন্য সঠিক শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহারঃ

শীতকালে চুলের জন্য মাইল্ড শ্যাম্পু এবং হাইড্রেটিং কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। এই ধরনের শ্যাম্পু চুলকে অতিরিক্ত শুষ্ক হতে দেয় না এবং কন্ডিশনার চুলে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনে। আপনি যদি আপনার চুলের ধরণের সাথে মিল রেখে সঠিক শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করেন তাহলে চুল শীতের সময়েও  ভাল থাকবে।

২) ময়শ্চারাইজিং শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহারঃ

এছাড়া শীতকালে শুষ্ক চুলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ময়শ্চারাইজিং শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার পাওয়া যায়। শীতের দিনে আপনি চুলের যত্ন নেয়ার জন্য এই শ্যাম্পু ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আশা করছি উপকৃত হবেন।

৩) সপ্তাহে এক বা দুই বার হেয়ার মাস্ক ব্যবহারঃ

চুলের গভীরে আর্দ্রতা পৌঁছানোর জন্য হেয়ার মাস্ক খুবই কার্যকর। সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপাদান যেমনঃ নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, অ্যালোভেরা ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। এই উপকরণগুলো চুলের শুষ্কতা দূর করে এবং চুলকে মোলায়েম ও ঝলমলে রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া আপনি নারকেল তেল, ক্যাস্টর অয়েল, ভিটামিন সি ক্যাপসুল এবং ডিমের কুসুম মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে চুলে লাগাতে পারেন। এটি আপনার চুল পড়া রোধ করতে সহায়তা করবে।

৪) শুষ্কতা দূর করতে তেল মাসাজ করুনঃ

হালকা গরম তেল চুলে ম্যাসাজ করলে চুলের পুষ্টি ফিরে আসে এবং শুষ্কতা কমে। নারকেল তেল, বাদাম তেল, আর্গান তেল ইত্যাদি শীতকালে চুলে ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী। তাই সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন বার গরম তেল দিয়ে চুলের গোড়ায় এই তেলগুলো মালিশ করুন। এটি আপনার চুলের রুক্ষতা দূর করতে এবং চুলকে মজবুত রাখতে সাহায্য করে।

৫) ভাপ নিন (Steam Treatment)ঃ

চুলের গভীরে আর্দ্রতা পৌঁছানোর জন্য ভাপ নেওয়া খুবই জরুরি। আপনি একটি বড় পানি রোধক বোলের মধ্যে গরম পানি নিয়ে তার ওপর মাথা রেখে চুলের জন্য স্টিম থেরাপি করতে পারেন। এটি আপনার চুলের শুষ্কতা কমাতে সহায়তা করবে এবং চুলকে স্বাস্থ্যবান করে তুলবে।

৬) হিট স্টাইলিং কম করাঃ

শীতের সময় চুল ভালো রাখার জন্য কোনভাবেই হিট স্টাইলিং করা যাবে না। যদিও হিট স্টাইলিং করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে আপনাকে কম মাত্রায় হিট স্টাইলিং করতে হবে। এছাড়া হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেইটনার বা কার্লার খুব কম ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন কারণ এগুলো চুলকে আরও শুষ্ক করে তোলে।

৭) মধু ব্যবহারঃ

প্রথমে আপনি চুলের গোড়ায় মধু দিয়ে ম্যাসাজ করুন এবং এরপর একটি গরম তোয়ালে মাথায় জড়িয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলকে মসৃণ ও সুন্দর করে তুলতে সহায়তা করবে।

৮) ভিনেগার ব্যবহারঃ

শীতে চুল ভালো রাখার জন্য চুলে শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে ২ চামচ ভিনেগার মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলকে মসৃণ ও উজ্জ্বল করতে সহায়তা করবে।

৯) চুলের সঠিক যত্নের জন্য পুষ্টিকর খাবার খানঃ

শীতকালীন সময়েও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। শীতে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি পাওয়া যায়। এই সমস্ত শাকসবজিতে প্রোটিন, ভিটামিন A, B, C, এবং Omega-3 ফ্যাটি অ্যাসিড আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করবে।

১০) চুল ঢেকে রাখুনঃ

আপনার চুলকে শীতের রুক্ষ আবহাওয়া ও কুয়াশার হাত থেকে রক্ষা করতে চুল ঢেকে রাখতে হবে। আপনি বাইরে যাওয়ার সময় পাতলা কাপড় বা মাফলার ব্যবহার করতে পারেন।

১১) ঠান্ডা বাতাস থেকে চুল রক্ষা করুনঃ

শীতকালে বাইরে বের হওয়ার সময় আপনাকে হালকা কাপড় দিয়ে চুল ঢেকে রাখতে হবে। মাথার টুপি বা স্কার্ফ ব্যবহার করলে চুল ঠান্ডা বাতাস থেকে রক্ষা পাবে।

১২) চুল শুকানোর জন্য হালকা তাপ ব্যবহার করুনঃ

শীতকালে চুল তাড়াতাড়ি শুকাতে গিয়ে তাপমাত্রা বেশি ব্যবহার করবেন না। হালকা তাপ ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি কম হয় তাই চুল শুকানোর জন্য হালকা তাপ ব্যবহার করুন।

১৩) গরম পানি এড়িয়ে চলুনঃ

শীতের সময় আমরা অনেকে গরম পানিতে গোসল করি কিন্তু এতে করে চুলের অনেক ক্ষতি হয়। চুল ধোয়ার সময় গরম পানি ব্যবহার করবেন না। এটি চুলের গোড়া নরম করে এবং চুলের ক্ষতি করে। তাই গোসল করার সময় হালকা উষ্ণ গরম পানি অথবা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন।

১৪) অ্যালোভেরা জেলঃ

আপনি শ্যাম্পু করার আগে অ্যালোভেরা জেল দিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করতে পারেন কারণ এটি আপনার চুলের রুক্ষভাব দূর করতে সহায়তা করবে এবং আপনার চুলকে ময়েশ্চারাইজড রাখবে।

১৫) চুল ভালোভাবে আঁচড়াতে হবেঃ 

শীতের সময় অনেকেই রয়েছেন যারা ঠিকভাবে চুলের যত্ন নেন না এবং গোসল করেন না। শীতকালে চুল ভালো রাখতে হলে আপনাকে প্রতিদিন গোসল করতে হবে এবং চুল আঁচড়িয়ে রাখতে হবে।

১৬) চুলে ভিনেগার ব্যবহার করুনঃ 

শীতের সময় আপনি আপনার চুলকে ভিনেগার দিয়ে ধুয়ে চুল পরিষ্কার রাখতে পারেন এছাড়াও ভিনেগার দিয়ে চুল ধুলে এটি কন্ডিশনার এর মত কাজ করে।

১৭) আগা ফাটা চুল কেটে ফেলুনঃ 

শীতের সময় চুলের আগা প্রচুর পরিমাণে ফেটে যেতে দেখা যায়। চুলের আগা ফেটে গেলেই এই আগা অবশ্যই আপনাদের কেটে ফেলতে হবে। যদি কেটে না ফেলেন তাহলে চুলের আগা ফাটা আস্তে আস্তে চুলের গোড়া নষ্ট করে দিবে। তখন চুলের আরো খারাপ অবস্থা সৃষ্টি হবে।

১৮) স্ট্রেটনিংঃ 

আপনারা অনেকে রয়েছেন যারা চুলের স্ট্রেটনিং করেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনারা চুলে স্ট্রেটনিং করার পূর্বে অবশ্যই সিরাম ব্যবহার করবেন।

১৯) হেয়ার টুল ব্যবহার কমানঃ 

শীতের সময় অতিরিক্ত হেয়ার টুল ব্যবহার করা কমাতে হবে। এই সময় হেয়ার টুল ব্যবহার করলে চুল আরো রুক্ষ হয়ে যায় এবং চুলের আগা ফেটে যায়।

২০) প্রতিদিন যত্ন নিনঃ 

শীতের সময় চুল সবচেয়ে বেশি প্রাণহীন হয়ে যায় এজন্য শীতের সময় প্রতিদিন চুলের যত্ন নিতে হবে।

২১) হটওয়েল থেরাপিঃ

শীতের সময় চুল ভালো রাখার জন্য হট ওয়েল থেরাপি খুবই কার্যকর। এজন্য শীতের সময় আপনাকে চুলে হট ওয়েল থেরাপি প্রয়োগ করতে হবে। যেমনঃ হালকা গরম অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেল চুলের গোড়ায় মাসাজ করতে হবে এরপর একটি নরম দেওয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে হবে। নরম তোয়ালেটি যদি হালকা গরম পানিতে চুবিয়ে মাথায় জড়িয়ে রাখেন তাহলে বেশি উপকার পাবেন।

২২) ঘুমানোর আগে চুল আচরাতে হবেঃ

প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই চুল ভালোভাবে আচরাতে হবে। শীতের সময় আমরা অনেকেই চুল ভালোভাবে না আচরিয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়ি। কিন্তু এই কাজটি করা যাবে না।

২৩) ভিটামিন-ই ক্যাপসুলঃ

ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলের জন্য খুব উপকারী এজন্য চেষ্টা করবেন প্রতি সপ্তাহে একবার করে ভিটামিন ই ক্যাপসুল তেলের মধ্যে ভেঙ্গে মাথায় দেওয়ার। তেলের সাথে ভিটামিন এ ক্যাপসুল মিশিয়ে চুলে দেওয়ার পর এটি মাথায় তিন ঘন্টা রেখে দিতে হবে। তারপর শ্যাম্পু করে ধরে ফেলতে হবে। 

২৪) ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা তেল মাসাজ করুনঃ 

রাতে বেশি তেল মাথায় প্রয়োগ করা উচিত নয় এজন্য যদি অলিভ অয়েল থাকে তাহলে অলিভ অয়েল হালকা গরম করে সীমিত পরিমাণে চুলের গোড়ায় প্রয়োগ করবেন। আর যদি অলিভ অয়েল না থাকে তাহলে নারিকেল তেল হালকা গরম করে সীমিত পরিমাণে চুলের গোড়ায় প্রয়োগ করবেন।

২৫) ত্বকের ধরন বুঝে যত্ন নিনঃ

মানুষের মাথার ত্বক ৩ ধরনের হয়। 

যেমনঃ 
  1. মাথার তৈলাক্ত ত্বক 
  2. মাথার স্বাভাবিক ত্বক এবং 
  3. শুষ্ক ত্বক। 
মাথার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য চুল নেতিয়ে যায় এবং মাথার শুষ্ক ত্বকের জন্য চুলে প্রচুর খুশকি হয়। ঠিক এজন্যই আপনার মাথার ত্বকের ধরন অনুযায়ী আপনাকে পরিচর্যা নিতে হবে।

২৬) চুলের ক্রিম ব্যবহার

অনেকেই আছেন যারা চুলে তেল ব্যবহার করতে চান না কারণ অনেকেরই শীতের সময় চুলে তেল ব্যবহার করলে চুলে বেশি ধুলাবালি জমে। যারা বাড়ির বাইরে বেশি সময় থাকেন সাধারণত তাদের এই সমস্যাটি বেশি হয়। তাই চাইলে আপনারা তেলের পরিবর্তে চুলের ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।

২৭) চুলের যত্নে ইলেকট্রিক সরঞ্জাম পরিহারঃ 

আপনারা অনেকে রয়েছেন যারা শীতের সময় চুল শুকানোর জন্য বা যত্ন নেওয়ার জন্য ইলেকট্রিক সরঞ্জাম ব্যবহার করেন। কিন্তু শীতের সময় এই কাজ ভুলেও করা যাবে না। আপনি যদি শীতের সময় ইলেক্ট্রিকের সরঞ্জাম সমূহ যেমনঃ স্ট্রেইটনার, হেয়ার ড্রায়ার ও চুলের স্টাইলিংয় করার জন্য ইলেকট্রিক সরঞ্জাম ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চুল নষ্ট হয়ে যাবে।

২৮) মাথার ছত্রাকঃ 

শীতের সময় টুপি এবং মাফলার অধিকাংশ সময়ই পরে থাকার কারণে মাথায় সাদা সাদা বা হলুদ রঙের ছত্রাক জন্ম নেয়। আপনাকে অবশ্যই শীতের সময় এই সমস্ত মাথার ছত্রাক গুলো দূর করতে হবে। এজন্য আপনাকে প্রতিদিন গোসল করতে হবে। প্রতিদিন গোসল না করলে এই ছত্রাক বেড়ে যাবে।

এই টিপসগুলো মেনে চললে শীতকালেও আপনার চুল থাকবে স্বাস্থ্যকর, সুন্দর, ঝলমলে ও পরিষ্কার। শীতের সময় মাথায় পরিচর্যা নেওয়ার জন্য কোন উপায়টি আপনার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী তা আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে।

শীতের সময় মাথার তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন

শীতের সময় যাদের তৈলাক্ত মাথার ত্বক তাদের মাথার চুল নেতিয়ে যায় এবং এই ত্বকের খুশকি সহজে ভালো হতে চায় না। কারন তৈলাক্ত ত্বকে খুশকি আঠার মতো লেগে থাকে। এজন্য আপনাদের একটি ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।  এই সমস্যা থেকে মুক্ত পাওয়ার জন্য আপনাকে সমপরিমাণ পানি এবং সমপরিমাণ মৌরি সারারাত ধরে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপরে পরের দিন এটিকে ভালোভাবে বেটে তারপরে মাথায় ত্বকে ভালোভাবে মাসাজ করতে হবে। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য অবশ্যই এটি আপনার মাথায় দুই ঘন্টা রেখে তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।


এছাড়া আপনি দু চা চামচ মেথি গুড়ার সাথে ২ চা চামচ নিমপাতা গুড়া, ২ চা চামচ টক দই, দুই চা চামচ আমলা এবং একটি দেশি মুরগির ডিমের সাদা অংশ, আধা কাপ উষ্ণ জলের সাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এই মিশ্রণটি  থেকে ভালো ফলাফলের জন্য চুলে কমপক্ষে 1 ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এরপর ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।


এছাড়া শীতে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আপনি একটি বিকল্প প্রাকিতিক শ্যাম্পু তৈরি করতে পারেন। যেমন এই  শ্যাম্পু টি তৈরি করার জন্য আপনাকে আমলকী, শুকনো রিঠা, শিকাকায়ি পানির মধ্যে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর এই মিশ্রণটি ভালোভাবে ছেকে নিয়ে আপনি শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। 

শীতের সময় মাথার স্বাভাবিক ত্বকের চুলের যত্ন

যাদের মাথার ত্বক স্বাভাবিক রয়েছে তাদের শীতের সময় চুলের বেশি পরিচর্যা করার প্রয়োজন নেই।  অর্থাৎ আপনি সচরাচর স্বাভাবিক যে পরিচর্যা করেন সেই পরিচর্যা করলেই আপনার চুল ভালো থাকবে। তবুও আপনি আরো ভালো ফলাফলের জন্য ন্যাচারাল কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। অথবা আপনি চাইলে কন্ডিশনার এর পরিবর্তে চুলে তেল দিতে পারেন। 

আপনাকে দিনে কয়েকবার ভালো চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে হবে তাহলে আপনার চুল ভালো থাকবে। সামান্য উষ্ণ গরম তেল আপনার মাথার ত্বকের জন্য খুবই উপযোগী একটি উপাদান। তাই চেষ্টা করুন মাঝে মাঝে আপনার মাথার ত্বকে উষ্ণ গরম তেল প্রয়োগ করতে। আপনি চাইলে উষ্ণ গরম তেলের সাথে অলিভ অয়েল মিশ করতে পারেন।

শীতের সময় মাথার শুষ্ক ত্বকের যত্ন

তৈলাক্ত ত্বকের চেয়ে শুষ্ক ত্বকে খুশকির পরিমাণ আরো বেশি হয়। তাই শুষ্ক ত্বকে খুশকি ভালো করতে হলে একটি ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। যেমনঃ শুকনা আমলকি এবং মেথি দেড় চামচ করে এক কাপ পানির ভেতরে দিয়ে সারারাত ধরে ভিজিয়ে রাখবেন। পরের দিন এটিকে ভালোভাবে বেঁটে এর সঙ্গে আবার তিন চামচ মধু মিক্স করবেন। এরপর এটি আপনার মাথার ত্বকে চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগিয়ে দিবেন। তাহলে আপনার চুল ভেতর থেকে পুষ্টি যোগাবে এবং অতিরিক্ত শুষ্কতা ভাব দূর হবে।

এছাড়া শীতে মাথার শুষ্ক ত্বকের যত্ন নিতে আপনি এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে পারেন। যেমনঃ ২ চা চামচ মধু এর সাথে দুই চা চামচ আমলকির রস, পরিমাণ মতো জবাফুল বাটা, টক দই, দেশি মুরগির সাদা ডিমের অংশ, দুই চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল এবং মেথির গুড়া মিশিয়ে চুলে প্রয়োগ করতে হবে এবং ভালো ফলাফলের জন্য এক ঘন্টা রেখে দিতে হবে।

এছাড়া শুষ্ক চুলে উজ্জ্বলতা ভাব এবং মসৃণ ভাব ফিরিয়ে আনার জন্য আপনি আধা মগ পানিতে পরিমাণ মতো লেবুর রস এবং ভালো চায়ের লিকার মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন। গোসলের আগে এই মিশ্রণটি দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে নিতে পারেন। তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিবেন গোসল করার সময়।

শীতে চুলের যত্নে তেল

শীতের সময় চুলের যত্নে বাদাম তেল খুবই উপকারী কারণ বাদাম তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড। চেষ্টা করুন সপ্তাহে এক থেকে দুইবার বাদামের তেল মাথার ত্বকে দিতে।

এছাড়া আপনি নারিকেল তেলের সাথে টি ট্রি মিশিয়ে আপনার মাথার ত্বকে দিতে পারেন। শুধুমাত্র টি ট্রি আলাদাভাবে মাথায় দেওয়া যাবে না তাই নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশ করে নিতে হবে। তিন টেবিল চামচ নারিকেল তেলের সঙ্গে পাঁচ ফোটা টি ট্রি মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন।

এছাড়া আপনি নারকেল তেলের সঙ্গে জবা ফুল মিশিয়ে হালকা গরম হয়ে গেলে সেই তেল মাথায় দিতে পারেন। জবা ফুলের সাথে আপনি দুই থেকে একটি জবা ফুলের পাতা নিয়ে নিতে পারেন। এই তেল গরম করার সময় যখন জবা ফুল থেকে নির্যাস বের হবে তখন তেলটি উঠিয়ে নিবেন এবং ঠান্ডা করবেন। এরপর আপনার মাথার ত্বকে লাগাবেন।

আপনি চাইলে মেথির তেল তৈরি করতে পারেন বাসায় বসে। এই মেথির তেল শীতের সময় চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। মেথির তেল বানানোর জন্য আপনি নারকেল তেলের সঙ্গে মেথির গুড়া মিশ করতে পারেন। এছাড়াও আপনি মেথির দানা নারকেল তেলের মধ্যে চুবিয়ে রাখতে পারেন। এভাবেও মেথির তেল তৈরি করা যায়।

শীতে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার উপায়

শীতে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য আপনাকে একটি ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। যেমন প্রাকৃতিকভাবে পাকা একটি কলা নিতে হবে। এই কলার সাথে আপনাকে এক টেবিল চামচ মধু এবং দুই থেকে তিনটি দেশি পেঁয়াজ ব্লেন্ডারে বেটে নিয়ে মিশ করতে হবে। 


এই মিশ্রণটি আপনাকে কমপক্ষে এক ঘন্টা চুলের গোড়ায় দিয়ে রাখতে হবে। এরপরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেললে আপনি দেখতে পাবেন আপনার চুলগুলো আগের থেকে অনেক মোলায়েম হয়ে গেছে।

শীতের দিনে চুলের যত্নের ঘরোয়া পদ্ধতি

শীতের দিনে চুলের যত্নের অনেকগুলো ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে। আপনারা অনেকেই রয়েছেন যারা চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি বেছে নেন, কারণ চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য বাইরের বিভিন্ন প্রোডাক্ট সমূহতে অনেক সময় কেমিক্যাল বা রাসায়নিক দেওয়া থাকে। তাই আপনারা প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের যত্ন নিতে চান। তাহলে চলুন আমরা এখন জেনে নেই কিভাবে প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদান দিয়ে ঘরে বসে আপনি শীতের সময় চুলের যত্ন নিবেন।

শীতের সময় চুলের যত্নের ঘরোয়া পদ্ধতি | শীতের সময় চুলের জন্য হেয়ার প্যাক

১) নারকেল তেল এবং মধুর প্যাকঃ

নারকেল তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী। এটি চুলের শুষ্কতা কমাতে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে এবং চুলে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

এই হেয়ার প্যাকটি বানানোর উপকরণসমূহঃ
  • ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল
  • ১ টেবিল চামচ মধু
  • ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল
আপনি এই উপকরণগুলো মিশিয়ে একটি হেয়ার প্যাক তৈরি করুন এবং চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার চুলের আর্দ্রতা ফিরিয়ে এনে শুষ্কতা দূর করবে।

উপকারিতাঃ 

এই প্যাকটি আপনার চুলে ময়েশ্চার যোগ করে, চুলকে মসৃণ এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সহায়তা করবে।

২) অ্যালোভেরা জেলের মাস্কঃ

এই হেয়ার প্যাকটি বানানোর উপকরণসমূহঃ
  •  ১/২ কাপ অ্যালোভেরা জেল
আপনি তাজা অ্যালোভেরা জেল বের করে চুলে এবং মাথার ত্বকে লাগান এবং ৩০ মিনিট রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

উপকারিতাঃ 

অ্যালোভেরা জেল চুলের গোড়া মজবুত করে এবং খুশকি দূর করে।

৩) ডিম এবং অলিভ অয়েল প্যাকঃ

ডিমে প্রোটিন, ভিটামিন B এবং লেকটিন থাকে যা চুলকে শক্তিশালী ও মজবুত করতে সাহায্য করে। অলিভ অয়েল চুলকে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করে এবং শুষ্কতা কমায়।

এই হেয়ার প্যাকটি বানানোর উপকরণসমূহঃ
  • ১টি ডিম
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
  • ১ টেবিল চামচ মধু
আপনি এই উপকরণগুলো মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন এবং চুলে ভালোভাবে লাগান। এরপর ২০ থেকে ৩০ মিনিট মাথায় রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার চুলের শুষ্কতা ও ভাঙ্গন কমাতে সাহায্য করবে।

উপকারিতাঃ

এই প্যাকটি আপনার চুলকে শক্তিশালী, মসৃণ এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সহায়তা করবে।

৪) অ্যাভোকাডো এবং মধুর প্যাকঃ

অ্যাভোকাডোতে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন E এবং ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা আপনার চুলে পুষ্টি জোগাতে সহায়তা করবে এবং আপনার চুলের শুষ্কতা ভাব কমাতে সহায়তা করবে। মধু চুলের আর্দ্রতা যোগ করে এবং শুষ্কতা প্রতিরোধ করে।

এই হেয়ার প্যাকটি বানানোর উপকরণসমূহঃ
  • ১টি পাকা অ্যাভোকাডো
  • ১ টেবিল চামচ মধু
অ্যাভোকাডো চটকে মধুর সাথে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন এরপর চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

উপকারিতাঃ

এই প্যাকটি আপনার চুলকে পুষ্টি প্রদান করে শুষ্কতা দূর করবে এবং চুলের মসৃণতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

৫) অ্যাভোকাডো ও ময়শ্চারাইজিং তেলের মাস্কঃ

এই হেয়ার প্যাকটি বানানোর উপকরণসমূহঃ
  • ১টি পাকা অ্যাভোকাডো
  • ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল
আপনি অ্যাভোকাডো নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সাথে মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। এরপর ৩০ মিনিট রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

উপকারিতাঃ

অ্যাভোকাডো আপনার চুলকে ময়শ্চারাইজ করতে এবং নরম রাখতে সহায়তা করবে। ফলে চুল হবে অনেক সিল্কি।

৬) বাদাম তেল এবং মধুর প্যাকঃ

বাদাম তেলে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন E এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা আপনার চুলের স্বাস্থ্য অনেক বেশি উন্নত করতে সহায়তা করবে। মধু চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

এই হেয়ার প্যাকটি বানানোর উপকরণসমূহঃ
  • ১ টেবিল চামচ বাদাম তেল
  • ১ টেবিল চামচ মধু
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
আপনি এই উপকরণগুলো মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন এবং চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

উপকারিতাঃ 

এই প্যাকটি আপনার চুলের শুষ্কতা কমাবে এবং আপনার চুলকে মসৃণ ও ঝলমলে রাখতে সহায়তা করবে।

৭) মেহেদি ও দইয়ের মাস্কঃ

এই হেয়ার প্যাকটি বানানোর উপকরণসমূহঃ
  • মেহেদি পাউডার
  • দই (পর্যাপ্ত পরিমাণে)
প্রথমে মেহেদি পাউডারে দই মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন এরপর এই পেস্ট চুলে লাগিয়ে দুই থেকে তিন ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন।

উপকারিতাঃ

মেহেদি আপনার চুলকে কালো করতে সহায়তা করবে এবং দই আপনার চুলকে ময়শ্চারাইজ রাখতে সহায়তা করবে।

৮) আয়োডিন, মধু ও অ্যালোভেরা প্যাকঃ

এই প্যাকটি আপনার চুলের শুষ্কতা কমাতে সহায়তা করবে এবং আপনার মাথার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সহায়তা করবে।

এই হেয়ার প্যাকটি বানানোর উপকরণসমূহঃ
  • ১ টেবিল চামচ আয়োডিন
  • ১ টেবিল চামচ মধু
  • ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল
এই উপকরণগুলো মিশিয়ে আপনি যদি চুলে লাগান এবং ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন তাহলে আপনার মাথার ত্বকের খুশকি দূর হয়ে যাবে এবং আপনার চুলকে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করবে।

উপকারিতাঃ 

এই প্যাকটি আপনার মাথার স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য পূর্বের তুলনায় উন্নত করবে এবং চুলকে সজীব সতেজ রাখতে সহায়তা করবে।

৯) দই, অলিভ অয়েল ও মধু প্যাকঃ

এই হেয়ার প্যাকটি বানানোর উপকরণসমূহঃ
  • ১ কাপ দই নিয়ে ফেটিয়ে নিন
  • ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং 
  • ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন
এরপর এই প্যাকটি আপনি চুলে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে দেখবেন আপনার চুল পূর্বের তুলনায় অনেক সিল্কি দেখাচ্ছে।

১০) মেথি ও দই প্যাকঃ

এই হেয়ার প্যাকটি বানানোর উপকরণসমূহঃ
  • ২ টেবিল চামচ মেথি সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন
  • সকালে মেথি বেটে নিন এবং 
  • ১ কাপ দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন
এই প্যাকটি আপনি চুলে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এটিও আপনার চুল সিল্কি করতে সহায়তা করবে।

১১) অ্যাভোকাডো, ডিম ও অলিভ অয়েল প্যাকঃ

এই হেয়ার প্যাকটি বানানোর উপকরণসমূহঃ
  • একটি অ্যাভোকাডো কেটে ভিতরের বীজ বের করে নিন এবং ভালো করে চটকে নিন।
  • এতে একটি দেশী মুরগির ডিমের হলুদ অংশ এবং 
  • ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন।
এই প্যাকটি আপনি চুলে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার চুলের গোড়া থেকে পুষ্টি যোগাবে।

১২) ডিম, দই ও মধু প্যাকঃ

এই হেয়ার প্যাকটি বানানোর উপকরণসমূহঃ
  • একটি ডিম ফেটিয়ে নিন।
  • এতে ১ কাপ দই এবং 
  • ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন।
এই প্যাকটি আপনি চুলে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি আপনার চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

১৩) ঘরোয়া পদ্ধতিতে বিকল্প শ্যাম্পু তৈরিঃ

এই  বিকল্প শ্যাম্পু বানানোর উপকরণসমূহঃ
  • ১০ থেকে ১৫টি  গ্রিন-টি ব্যাগ
১০ থেকে ১৫ টি গ্রিন-টি ব্যাগ পানিতে সর্বপ্রথম ফুটিয়ে নিতে হবে এরপর পানি ঠান্ডা হয়ে গেলে সেই পানি দিয়ে মাথার চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি শ্যাম্পুর বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। এটি করার পরে আপনি দেখবেন আপনার চুল শ্যাম্পু করার মতোই ঝরঝরে হয়ে গেছে।
  • সোডা
এছাড়া আপনি শ্যাম্পুর বিকল্প হিসেবে সোডা ব্যবহার করতে পারেন। সোডা দিয়ে মাথার চুল ধুয়ে ফেললে মাথার চুল অনেক ঝলমলে হয়ে যায়। সোডা ব্যবহার করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম চুল ভিজিয়ে নিতে হবে এরপর পাঁচ মিনিট সোডা চুলের সাথে মাখিয়ে নিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • টক দই
  • সোডা
এছাড়া আপনি এক টেবিল চা চামচ সোডা  এবং তিন টেবিল চামচ খাঁটি ঠান্ডা দই একসঙ্গে মিশ্রণ তৈরি করে চুলে লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এটিও শ্যাম্পুর বিকল্প হিসেবে কাজ করে।

১৪) শীতে খুশকি দূর করার বিকল্প শ্যাম্পঃ

এই  বিকল্প শ্যাম্পু বানানোর উপকরণসমূহঃ
  • পাতি লেবু ও এক মগ পানি
পাতি লেবুর রস এক মগ পানিতে পরিমাণ মতো নিয়ে সেই পানি দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুতে হবে তাহলেই এটি খুশকি দূর করার বিকল্প শ্যাম্পু হিসেবে কাজ করবে।

এই মাস্কগুলো সপ্তাহে একবার বা দুবার চুলে ব্যবহার করতে চেষ্টা করুন। এই প্যাকগুলো চুলের রুক্ষতা, খুশকি এবং ডগা ফাটা সমস্যা সহ আরো অনেক জটিল জটিল চুলের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করবে। তাই আপনারা চুলের যত্ন শীতের সময় সঠিকভাবে নেওয়ার জন্য এই ঘরোয়া হেয়ার প্যাকগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। যদি কোন হেয়ার প্যাক কাজ না করে তাহলে অন্য হেয়ার প্যাকগুলো ট্রাই করবেন।

আপডেট আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস এবং ট্রিক্সঃ

যদি আপনার কাছে বেশি উপকরণ না থাকে তাহলে আপনি শুধুমাত্র একটি থেকে দুইটি উপকরণ দিয়েও শীতের সময় আপনার চুলের যত্ন নিতে পারবেন। যেমনঃ

দই ও মধুর মাস্কঃ 

আপনার কাছে বেশি উপকরণ না থাকলে আপনি শুধুমাত্র দই ও মধু মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে চুলে লাগাতে পারেন তাহলে আপনার চুল আগের চেয়ে অনেক ময়েশ্চারাইজড হবে।

অ্যালোভেরা জেলঃ 

আপনার কাছে যদি শুধু অ্যালোভেরা জেল থাকে তাহলে আপনি এটি চুলে লাগিয়ে রাখতে পারেন কারণ এই একটি উপকরণ আপনার চুলে লাগিয়ে রাখলে আপনার চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং খুশকি দূর হবে।

অ্যাভোকাডোঃ

আপনি যদি আপনার চুল উজ্জ্বল ও চকচকে করতে চান তাহলে শুধু অ্যাভোকাডো চুলে লাগিয়ে রাখুন।

নারিকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েলঃ 

গোসলের আগে নারিকেল তেল এবং ক্যাস্টর অয়েল হালকা গরম করে মাথার ত্বকে দিয়ে এক ঘন্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন এটি করলেই যথেষ্ট।

দুই চামচ টক দই এবং তিন চামচ মধুঃ 

গোসলের আগে যদি ২ চামচ টক দই এবং তিন চামচ মধু ভালোভাবে মিশ্রণ করে চুলে লাগান তাহলে চুল অনেক মসৃণ উজ্জ্বল ঝলমলে থাকবে।

দুইটা ডিম, তিন চামচ মধুঃ

আপনি যদি সপ্তাহে একবার গোসলের আগে দুইটা ডিম এবং তিন চামচ মধু মাথায় প্রয়োগ করেন তাহলে আপনার চুলের জটলা ভাব কমে যাবে।

গোসলের পর মধু প্রয়োগঃ

ভালোভাবে শ্যাম্পু দেওয়ার পর + কন্ডিশনার ব্যবহার করার পর আপনি যদি আধা কাপ মধু পানির সাথে মিশে সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নেন তাহলে আপনি যেকোনো ধরনের চুলে ভালো ফলাফল পাবেন। মনে রাখবেন এটি শুধুমাত্র শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দেওয়ার পরে ব্যবহার করা যাবে।

বাসায় তৈরি অ্যালোভেরা মাথায় দিনঃ

অনেকে রয়েছেন যারা বাইরে থেকে অ্যালোভেরা কিনে নিয়ে আসেন কিন্তু সেই সমস্ত অ্যালোভেরার মধ্যে রাসায়নিক বিভিন্ন উপাদান থাকে। তাই চেষ্টা করবেন বাসায় তৈরি অ্যালোভেরা সুন্দরভাবে চামড়া উঠিয়ে নিয়ে নরম অংশটুকু পুরো মাথায় হাত দিয়ে ঘষে দিতে। আমরা সকলেই জানি অ্যালোভেরা সব ধরনের চুলের জন্য কার্যকরী।

ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার নিষিদ্ধঃ 

বর্তমানে প্রত্যেকটি পরিবারের মেয়েরাই গোসলের পর চুল শুকানোর জন্য ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করে যা তাদের চুলকে আরো রুক্ষ শুষ্ক করে দেয়। তাই শীতের সময় হোক কিংবা গরমের সময় হোক কখনোই এই সকল ড্রয়ার ব্যবহার করা উচিত নয়। চুল শুকাতে হবে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে আস্তে আস্তে।

শীতে খুশকি দূর করার কার্যকর একটি উপায়ঃ

মাত্র পাঁচ চামচ নারকেল তেলের সাথে একটি গোটা দেশি লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে মাথায় দিবেন। এরপর ১ ঘন্টা রেখে দিয়ে গোসল করে ফেলবেন তাহলে দেখবেন শীতের সময় আপনার মাথায় খুশকি হচ্ছে না।

ভালো চিরুনি ব্যবহারঃ

চিরুনি ব্যবহার করার জন্য প্লাস্টিকের চিরুনিগুলো সবচেয়ে ভালো এবং চিরুনিগুলোর দাঁত অবশ্যই ফাঁকা ফাঁকা হতে হবে।

ভালো মানের তেল এবং সেরাম ব্যবহারঃ

বাজারে অনেক ধরনের তেল এবং সেরাম পাওয়া যায়। তাই আপনার মাথার ত্বকের জন্য কোন তেল এবং সেরামটি পারফেক্ট সেটি আপনাকে সর্বপ্রথম বাছাই করতে হবে।

শীতের সময় চুলের যত্নের ঘরোয়া প্যাক ব্যবহারের উপকারিতাঃ

শীতকালে চুলের জন্য ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করলে আপনি অনেক ধরনের উপকারিতা পাবেন।

যেমনঃ
  • ময়েশ্চারাইজিংঃ ঘরোয়া উপকরণগুলি চুলের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনে এবং শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে।
  • প্রাকৃতিক পুষ্টিঃ ঘরোয়া প্যাকগুলি চুলে প্রাকৃতিক পুষ্টি যোগ করেন যা চুলকে সুস্থ ও ঝলমলে রাখতে সহায়তা করে।
  • চুলের ভাঙ্গা রোধঃ আপনার চুলের শুষ্কতা ও ভাঙ্গন কমাতে প্রাকৃতিক উপকরণগুলি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  • চুল পড়া রোধঃ আপনি যদি নিয়মিত ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করেন তাহলে চুলের স্বাস্থ্য উন্নত হবে এবং চুল পড়া কমাতে সহায়তা করবে।

শীতের সময় ছেলে এবং মেয়েদের আলাদা আলাদা চুলের যত্ন নিতে হবে?

উত্তর হচ্ছে না শীতের সময় ছেলে এবং মেয়েদের আলাদা আলাদা চুলের যত্ন নিতে হবে না। শুধুমাত্র শ্যাম্পু ছেলে মেয়েদের জন্য আলাদা আলাদা ব্যবহার করতে হবে। আমি এই আর্টিকেলে উপরে চুলের যত্ন শীতের সময় নেওয়ার জন্য যে সমস্ত পদ্ধতি গুলো আলোচনা করেছি আপনি যদি এই পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করেন তাহলে আপনি যেকোন মাথার ত্বকে চুলের জন্য উপকার পাবেন।


অর্থাৎ ছেলে-মেয়ে উভয়ই এই পদ্ধতি গুলো মেনে চললে আপনাদের মাথার চুল শীতের সময়ও অনেক ভালো থাকবে। তবে আমি সাজেস্ট করব আপনি ছেলে হন কিংবা মেয়ে হন, যদি শীতের সময় চুলের সঠিক উজ্জ্বলতা এবং মসৃণতা পেতে চান তাহলে এই আর্টিকেলের চুলের যত্নের ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো মেনে চলুন।

শীতের দিনে চুলের শ্যাম্পু

শীতের দিনে চুলের শ্যাম্পু সম্পর্কে আপনাদের জানতে হবে কারণ চুলের শ্যাম্পু ছেলেদের জন্য আলাদা আলাদা হয় এবং মেয়েদের জন্য আলাদা আলাদা হয়। যদিও শীতের সময় চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য, এই আর্টিকেলের বিভিন্ন টিপস, ট্রিকস এবং ঘরোয়া পদ্ধতি সমূহ, ছেলেমেয়ে উভয়কেই একই নিয়ম মেনে চলতে হবে।

কিন্তু শ্যাম্পু দেওয়ার ক্ষেত্রে ছেলে এবং মেয়ের শ্যাম্পু গুলো আলাদা আলাদা হবে। তাই আমি এখন আপনাদের সঙ্গে এমন কিছু ভালো ভালো শ্যাম্পু নিয়ে আলোচনা করব যা আপনাদের শীতের দিনে চুলের যত্ন নিতে সহায়তা করবে।

মাথার ত্বকের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু নির্বাচন

অবশ্যই আপনাকে আপনার মাথার ত্বকের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু নির্বাচন করতে হবে। কারণ একটি শ্যাম্পু একজনের মাথায় ভালো কাজ করলেও সেই শ্যাম্পুটি আপনার মাথায় ভাল কাজ করবে এই বিষয়টি সঠিক নয়। তাই আপনার চুলের জন্য কোন শ্যাম্পু টি কার্যকর সেটি খুজে বের করুন।

মাথার শুষ্ক চুলের শ্যাম্পু নির্বাচনঃ

আপনাদের যাদের মাথার শুষ্ক চুলের সমস্যা রয়েছে তারা চেষ্টা করবেন এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করার যে শ্যাম্পুতে কন্ডিশনার এবং শ্যাম্পুর পরিমাণ সমান সমান থাকে। যদি তাতেও কোন কাজ না হয় তাহলে আপনি অবশ্যই শ্যাম্পুর ব্র্যান্ড চেঞ্জ করবেন।

মাথার তৈলাক্ত ত্বকের চুলের শ্যাম্পু নির্বাচনঃ

যাদের মাথার ত্বক তৈলাক্ত তারা সেই সমস্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন যে সমস্ত শ্যাম্পুতে কন্ডিশনার এর মাত্রা কম থাকে। তবে তৈলাক্ত মাথার ত্বকের জন্য ভেষজ শ্যাম্পু গুলো বেশি ভালো কাজ করে। কারণ ভেষজ শ্যাম্পুগুলোতে লেবু ও আমলকি ছাড়াও আরো অনেক উপাদান দেওয়া থাকে যা তৈলাক্ত ত্বকের চুলের জন্য উপকারী।

মাথার স্বাভাবিক ত্বকের চুলের শ্যাম্পু নির্বাচনঃ

যাদের স্বাভাবিক চুল তাদের সাধারণত নরমাল চুলের পরিচর্যা করলেই যথেষ্ট। যেকোনো ধরনের শ্যাম্পু আপনি আপনার চুলের সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে পারেন। তবে শ্যাম্পুটি অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের হতে হবে।

চুলে শ্যাম্পু দেওয়ার নিয়ম

চুলে শ্যাম্পু দেওয়ার নিয়ম আপনাকে জানতে হবে। অনেকেই রয়েছেন যারা গোসলের সময় চুলে শ্যাম্পু জোরে জোরে ঘষাঘষি করেন। কিন্তু এই কাজটি করা মোটেও ঠিক নয়। মাথায় প্রচন্ড জোরে ধর্ষণ লাগার ফলে মাথার চুল উঠে যেতে পারে।
চুলে-শ্যাম্পু-দেওয়ার-নিয়ম
তাই মাথায় শ্যাম্পু দেওয়ার আগে মাথা হালকা পানি দিয়ে প্রথমে ধুয়ে নিন। যদি হালকা গরম পানি দিয়ে মাথা হালকা ধুয়ে নিতে পারেন তাহলে আরো বেশি উপকার পাবেন। তবে ঠান্ডা পানি হলেও সমস্যা নেই। এরপর আপনি হাতের তালুতে শ্যাম্পু নিয়ে এই শ্যাম্পুর সাথে পানি মেশাবেন তারপর মাথায় খুব আস্তে আস্তে দিতে থাকবেন। এভাবে শ্যাম্পু দিলে আপনার মাথায় থেকে চুল উঠবে না এবং মাথায় শ্যাম্পুর কার্যকারিতা বেড়ে যাবে। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য মাথায় সপ্তাহে অন্তত দুইবার শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। শ্যাম্পু করার পরে অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।

শীতের সময় মেয়েদের চুলের শ্যাম্পু

শীতের দিনে মেয়েদের চুলের শ্যাম্পুঃ
১) Dove Intense Repair Shampoo
২) L’Oreal Paris Total Repair 5 Shampoo
৩) L'Oreal Paris Elvive Extraordinary Oil Shampoo
৪) TRESemme Moisture Rich Shampoo
৫) Pantene Pro-V Daily Moisture Renewal Shampoo
৬) Biotique Bio Kelp Protein Shampoo
৭) Herbal Essences Bio:Renew Argan Oil of Morocco Shampoo
৮) Head & Shoulders Smooth and Silky Shampoo

শ্যাম্পু গুলোর বিস্তারিত বর্ণনাঃ

১) Dove Intense Repair Shampoo:

ব্র্যান্ডঃ Dove

এই শ্যাম্পুর বিশেষত্বঃ 
  • Dove Intense Repair Shampoo চুলের শুষ্কতা কমায় এবং চুলের ভাঙ্গন রোধ করে। 
  • এই শ্যাম্পুতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদানগুলো চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে। 
  • চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে। 
  • এটি চুলের টানটান ভাব দূর করতে সাহায্য করে এবং চুলকে সিল্কি ও মসৃণ রাখে।
এই শ্যাম্পু ব্যবহারের উপকারিতাঃ
  • চুলের শুষ্কতা ও ভাঙ্গন কমায়।
  • চুলের ভেতরে গভীরভাবে পুষ্টি পৌঁছায়।
  • প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
  • চুলে কোমলতা আনে।
২) L’Oreal Paris Total Repair 5 Shampoo:

ব্র্যান্ডঃ L’Oreal

এই শ্যাম্পুর বিশেষত্বঃ  

এই শ্যাম্পুটি আপনার চুলের পাঁচটি প্রধান সমস্যার সমাধান করবে। যেমনঃ চুল ভাঙা, রুক্ষতা, নিস্তেজতা, চুল পড়া এবং চুলের প্রান্ত ফাটা।

এই শ্যাম্পু ব্যবহারের উপকারিতাঃ

এটি আপনার চুলকে শক্তিশালী করবে এবং চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে।

৩) L'Oreal Paris Elvive Extraordinary Oil Shampoo:

ব্র্যান্ডঃ L'Oreal Paris

এই শ্যাম্পুর বিশেষত্বঃ 

L'Oreal Paris Elvive Extraordinary Oil Shampoo শুষ্ক এবং নিস্তেজ চুলের জন্য খুব কার্যকরী একটি শ্যাম্পু। বিশেষ করে এটি শুষ্ক চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এই শ্যাম্পুতে রয়েছে ৬টি প্রাকৃতিক তেল যা চুলকে পুষ্টি দিয়ে চমৎকার মসৃণতা নিয়ে আসতে পারে।

এই শ্যাম্পু ব্যবহারের উপকারিতাঃ
  • চুলে গভীর পুষ্টি প্রদান করে।
  • চুলকে মসৃণ এবং ঝলমলে রাখে।
  • শুষ্কতা ও তেলতেলে ভাব দূর করে।
  • শীতকালে চুলকে সুরক্ষা দেয়।
৪) TRESemme Moisture Rich Shampoo:

ব্র্যান্ডঃ TRESemme

এই শ্যাম্পুর বিশেষত্বঃ 

TRESemmé Moisture Rich Shampoo শুষ্ক এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য একটি আদর্শ শ্যাম্পু। এটি চুলে গভীরভাবে আর্দ্রতা প্রদান করে এবং চুলকে মসৃণ ও সিল্কি করে তোলে। শীতকালে চুলের শুষ্কতা কমাতে এবং চুলকে প্রাণবন্ত রাখতে এটি খুবই কার্যকরী।

এই শ্যাম্পু ব্যবহারের উপকারিতাঃ
  • চুলের শুষ্কতা কমায়।
  • চুলকে মসৃণ এবং সিল্কি করে তোলে।
  • আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং 
  • চুলকে শক্তিশালী করে।
৫) Pantene Pro-V Daily Moisture Renewal Shampoo:

ব্র্যান্ডঃ Pantene

এই শ্যাম্পুর বিশেষত্বঃ 

Pantene Pro-V Daily Moisture Renewal Shampoo শুষ্ক ও তেলতেলে চুলের জন্য একটি দুর্দান্ত শ্যাম্পু। এতে রয়েছে ভিটামিন B5 যা চুলে গভীরভাবে পুষ্টি প্রদান করে এবং চুলকে মজবুত ও মসৃণ করে তোলে। এটি চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং শুষ্কতাকে দূর করতে সাহায্য করে।

এই শ্যাম্পু ব্যবহারের উপকারিতাঃ
  • চুলে আর্দ্রতা বজায় রাখে।
  • চুলের ভাঙ্গন কমায়।
  • প্রাকৃতিক উপাদানে সমৃদ্ধ, যা চুলকে সজীব ও মসৃণ রাখে।
  • শুষ্ক চুলকে সুরক্ষিত করে।
৬) Biotique Bio Kelp Protein Shampoo:

ব্র্যান্ডঃ Biotique

এই শ্যাম্পুর বিশেষত্বঃ 

Biotique Bio Kelp Protein Shampoo প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি যা চুলকে পুষ্টি দিয়ে চুল তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি চুলের ক্ষতি রিপেয়ার করে এবং শীতকালে চুলের শুষ্কতা ও ভাঙ্গন কমাতে খুবই কার্যকর।

এই শ্যাম্পু ব্যবহারের উপকারিতাঃ
  • প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি যা চুলকে প্রাকৃতিকভাবে পুষ্টি দেয়।
  • চুলের ক্ষতি রিপেয়ার করে এবং শুষ্কতা কমায়।
  • চুলকে শক্তিশালী এবং মসৃণ রাখে।
৭) Herbal Essences Bio:Renew Argan Oil of Morocco Shampoo:

ব্র্যান্ডঃ Herbal Essences

এই শ্যাম্পুর বিশেষত্বঃ 

Herbal Essences Bio:Renew Argan Oil of Morocco Shampoo এটি আর্গান তেল সমৃদ্ধ একটি শ্যাম্পু যা চুলকে পুষ্টি এবং আর্দ্রতা প্রদান করে। এই শ্যাম্পু চুলের ভাঙ্গন কমাতে সাহায্য করে এবং শীতকালে চুলকে সজীব এবং ঝলমলে রাখে।

এই শ্যাম্পু ব্যবহারের উপকারিতাঃ
  • আর্গান তেল সমৃদ্ধ, যা চুলকে গভীর পুষ্টি দেয়।
  • শুষ্কতা ও ভাঙ্গন কমায়।
  • চুলকে সিল্কি এবং মসৃণ করে তোলে।
৮) Head & Shoulders Smooth and Silky Shampoo:

ব্র্যান্ডঃ Head & Shoulders

এই শ্যাম্পুর বিশেষত্বঃ 

Head & Shoulders Smooth and Silky Shampoo শীতকালে মাথার ত্বক এবং চুলের খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। এই শ্যাম্পুতে থাকা জিংক পিরিথিয়ন মাথার ত্বককে সুরক্ষা দেয় এবং চুলকে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে। এটি শুষ্ক চুলকে মসৃণ এবং ঝলমলে করে তোলে।

এই শ্যাম্পু ব্যবহারের উপকারিতাঃ
  • মাথার ত্বক থেকে খুশকি দূর করে।
  • চুলকে মসৃণ এবং ঝলমলে রাখে।
  • মাথার ত্বককে সুরক্ষা দেয় এবং 
  • চুলকে আর্দ্র রাখে।
শীতকালে মেয়েদের আরো ২টি আপডেট শ্যাম্পু সংযোজন করা হল যা আপনারা ব্যবহার করে দেখতে পারেনঃ
  • Mamaearth Argan Hair Fall Control Shampoo: এই শ্যাম্পুতে আর্গান তেল, অ্যালোভেরা এবং কেরাটিন রয়েছে যা আপনার চুলের গোড়া মজবুত করতে সহায়তা করবে এবং আপনার চুল পড়া রোধ করতে সহায়তা করবে।
  • The Body Shop Rainforest Moisture Hair Butter: এই শ্যাম্পুটিতে রয়েছে শিয়া বাটার এবং হনির সুগন্ধ যা আপনার চুলকে গভীরভাবে ময়শ্চারাইজ করতে সহায়তা করবে।

শীতের সময় ছেলেদের চুলের শ্যাম্পু


শ্যাম্পুর নাম সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
১) Head & Shoulders Men Ultra Scalp Care Anti-Dandruff Shampoo এই শ্যাম্পুটি খুশকি রোধ করতে সহায়ক এবং শীতকালে চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
২) Dove Men+Care Thickening Shampoo এই শ্যাম্পুটি চুলকে ঘন ও মজবুত করতে সাহায্য করে। এতে প্রাকৃতিক উপাদান থাকায় চুলের জন্য নিরাপদ।
৩) Dove Men+Care Fortifying Shampoo রুক্ষতা দূর করে।
৪) Beardo Hair Fall Control Shampoo চুলের পড়ে যাওয়া রোধ করতে সহায়ক এবং শীতকালে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা প্রদান করে।
৫) Mamaearth Onion Shampoo for Hair Growth এটি পেঁয়াজের নির্যাস দিয়ে তৈরি, যা চুলের বৃদ্ধির জন্য উপকারী এবং শুষ্কতাও কমাতে সাহায্য করে।
৬) Nivea Men Dandruff Control Shampoo শীতকালে খুশকি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখে।
৭) NIVEA Men Active Clean Shampoo চুল সতেজ করে।
৮) Pantene Pro-V Men Shampoo চুল শক্তিশালী করে।
৯) L’Oreal Paris Men Expert Total Clean 5-in-1 Shampoo চুলের নিস্তেজ ভাব দূর করে।

শ্যাম্পু গুলোর বিস্তারিত বর্ণনাঃ

১) Head & Shoulders Men Ultra Scalp Care Anti-Dandruff Shampoo:

এই শ্যাম্পুর কার্যকারিতা সমূহঃ

এই শ্যাম্পুটি মূলত ছেলেদের জন্য খুশকি নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে কার্যকর। শীতকালে খুশকি ও স্কাল্প ড্রাইনেস একটি সাধারণ সমস্যা যা মাথার ত্বকে অতিরিক্ত শুষ্কতা ও জীবাণু জমে খুশকি সৃষ্টি করে। এই সকল সমস্যা সমাধান করে Head & Shoulders Men Ultra Scalp Care Anti-Dandruff Shampoo এই শ্যাম্পুটি। এতে থাকা ফলিক অ্যাসিড মাথার ত্বকে গভীরভাবে প্রবেশ করে এবং খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি চুলের পুষ্টি বৃদ্ধি করতে সহায়ক এবং শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে।

এই শ্যাম্পু ব্যবহারের সুবিধা সমূহঃ
  • খুশকি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
  • মাথার ত্বককে আর্দ্র রাখে।
  • চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
২) Dove Men+Care Thickening Shampoo:

এই শ্যাম্পুর কার্যকারিতা সমূহঃ

Dove Men+Care Thickening Shampoo একটি প্রিমিয়াম শ্যাম্পু যা চুলকে ঘন এবং মজবুত করতে সহায়ক। এটি প্রোটিন এবং ময়েশ্চারাইজিং ফ্যাক্টর দিয়ে তৈরি যা শীতকালে চুলের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষভাবে এটি চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে, যাতে চুল স্বাস্থ্যবান ও ঝরঝরে থাকে। শীতকালে চুলের সুষম পুষ্টি পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আর Dove Men+Care এই সুষম পুষ্টির যোগান দেয়।

এই শ্যাম্পু ব্যবহারের সুবিধা সমূহঃ
  • চুলকে ঘন ও মজবুত করে।
  • শুষ্কতা রোধে কার্যকর।
  • মাথার ত্বক ও চুলের ময়েশ্চার বজায় রাখে।
৩) Dove Men+Care Fortifying Shampoo:

এই শ্যাম্পুর কার্যকারিতা সমূহঃ 
  • এই শ্যাম্পুটি চুলের রুক্ষতা দূর করতে এবং চুলকে মজবুত করতে সাহায্য করে।
এই শ্যাম্পু ব্যবহারের সুবিধা সমূহঃ 
  • এটি চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং চুলকে নরম ও মসৃণ করে তোলে।
৪) Beardo Hair Fall Control Shampoo:

এই শ্যাম্পুর কার্যকারিতা সমূহঃ

Beardo Hair Fall Control Shampoo বিশেষভাবে চুল পড়ে যাওয়া রোধ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এতে থাকা বায়োটিন, অর্গানিক তেল এবং ক্যাফিন চুলের পুষ্টি যোগায় ও চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে। শীতকালে চুল বেশি ঝরে যেতে পারে কারণ ঠাণ্ডা বাতাস ও আর্দ্রতার অভাবে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে। Beardo Hair Fall Control Shampoo এই সমস্যাটি সমাধান করতে সহায়ক এবং চুলকে মজবুত ও সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

এই শ্যাম্পু ব্যবহারের সুবিধা সমূহঃ
  • চুল পড়ে যাওয়া রোধ করে।
  • চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক।
  • শীতকালীন শুষ্কতা থেকে চুলকে রক্ষা করে।
৫) Mamaearth Onion Shampoo for Hair Growth:

এই শ্যাম্পুর কার্যকারিতা সমূহঃ

Mamaearth Onion Shampoo চুলের বৃদ্ধির জন্য অন্যতম সেরা শ্যাম্পু। এতে পেঁয়াজের নির্যাস, আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড (AHA) এবং ভিটামিন E থাকে যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক এবং মাথার স্কাল্পকে পুষ্টি প্রদান করে। শীতকালে চুলের বৃদ্ধির প্রক্রিয়া কমে যেতে পারে। এই শ্যাম্পুটি চুলের গ্রোথ সাইকেলকে দ্রুত করে তোলে। এটি চুলের শিকড়কে মজবুত করে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।

এই শ্যাম্পু ব্যবহারের সুবিধা সমূহঃ
  • চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়।
  • শিকড় মজবুত করে।
  • স্কাল্পের স্বাস্থ্য বজায় রাখে।
৬) Nivea Men Dandruff Control Shampoo:

এই শ্যাম্পুর কার্যকারিতা সমূহঃ

Nivea Men Dandruff Control Shampoo ছেলেদের জন্য একটি উচ্চমান সম্পন্ন শ্যাম্পু যা খুশকি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি আপনার মাথার স্কাল্পকে সুরক্ষা প্রদান করে এবং মাথার ত্বককে আর্দ্র রাখে। শীতকালে স্কাল্পে সোর এবং খুশকি বেড়ে যায়। Nivea Men Dandruff Control Shampoo নিয়মিত ব্যবহার করলে স্কাল্পে অতিরিক্ত তেল এবং খুশকি জমতে দেয় না। এতে থাকা উপাদানগুলো মাথার ত্বককে পুষ্টি দেয় এবং চুলের সুস্থতা নিশ্চিত করে।

এই শ্যাম্পু ব্যবহারের সুবিধা সমূহঃ
  • খুশকি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
  • স্কাল্পকে পুষ্টি দেয়।
  • চুলকে সুস্থ ও ঝরঝরে রাখে।
৭) NIVEA Men Active Clean Shampoo:

এই শ্যাম্পুর কার্যকারিতা সমূহঃ 
  • এই শ্যাম্পুটি চুলের ময়লা ও তেল দূর করতে সাহায্য করে এবং চুলকে সতেজ ও পরিষ্কার রাখে।
এই শ্যাম্পু ব্যবহারের সুবিধা সমূহঃ 
  • এটি চুলের রুক্ষতা কমাতে সহায়তা করে এবং চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখতে সহায়তা করে।
৮) Pantene Pro-V Men Shampoo:

এই শ্যাম্পুর কার্যকারিতা সমূহঃ  
  • এই শ্যাম্পুটি চুলের রুক্ষতা দূর করতে সহায়তা করে এবং চুলকে মজবুত করতে সাহায্য করে।
এই শ্যাম্পু ব্যবহারের সুবিধা সমূহঃ  

এই শ্যাম্পু চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং চুলকে নরম ও মসৃণ করে তোলে।

৯) L’Oreal Paris Men Expert Total Clean 5-in-1 Shampoo:

এই শ্যাম্পুর কার্যকারিতা সমূহঃ 
  • এই শ্যাম্পুটি চুলের পাঁচটি প্রধান সমস্যার সমাধান করে। যেমনঃ চুল ভাঙা, রুক্ষতা, নিস্তেজতা, চুল পড়া এবং চুলের প্রান্ত ফাটা।
এই শ্যাম্পু ব্যবহারের সুবিধা সমূহঃ 
  • এটি চুলকে শক্তিশালী করে
  • চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে
শীতকালে চুলের যত্ন নিতে হলে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার শ্যাম্পু ব্যবহার করুন এবং শ্যাম্পুর পর সঠিক কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া চুলে তেল মালিশ এবং হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করাও আপনার চুলের জন্য উপকারী হতে পারে।

শীতের দিনে ছেলেদের আরো কিছু আপডেটেড শ্যাম্পু সংযোজন করা হলোঃ

শ্যাম্পুর নাম কার্যকারিতা
Head & Shoulders Clinical Strength খুশকির সমস্যা থাকলে এই শ্যাম্পু খুবই কার্যকর
Nivea Men Deep Clean Shampoo এই শ্যাম্পু চুলকে গভীরভাবে পরিষ্কার করে এবং তৈলাক্ততা দূর করে
TRESemm Keratin Smooth Shampoo এই শ্যাম্পু চুলকে মসৃণ এবং চকচকে করে
The Body Shop Rainforest Moisture Hair Butter এই শ্যাম্পুতে শিয়া বাটার এবং হনির সুগন্ধ রয়েছে যা চুলকে গভীরভাবে ময়শ্চারাইজ করে
HIMALAYA Purifying Neem Shampoo নিমের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ চুলের সংক্রমণ রোধ করে

শীতকালে চুলের জন্য কোন ধরনের শ্যাম্পু ভালো?

শীতকালে চুলের জন্য কোন ধরনের শ্যাম্পু ভালো তা আমরা অনেকেই জানিনা। আমরা শুধু বাজারে যাই এবং যে কোন একটি শ্যাম্পু কিনে নিয়ে চলে আসি। কিন্তু আমাদের শ্যাম্পু কেনার আগে জেনে নিতে হবে কোন শ্যাম্পু টি শীতকালের জন্য ভালো কার্যকরী।

যেমনঃ

ময়শ্চারাইজিং শ্যাম্পুঃ এই ধরনের শ্যাম্পুতে ময়শ্চারাইজিং উপাদান থাকে যা চুলকে পুষ্টি যোগায় এবং চুল নরম রাখে। শীতের সময় চুলের শুষ্কতা মোকাবিলার জন্য ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। এমন শ্যাম্পু বেছে নিন যাতে আর্দ্রতা বজায় রাখে। ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পুতে সাধারণত হ্যাঁলিপিডস এবং গ্লিসারিন থাকে যা চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে

সালফেট মুক্ত শ্যাম্পুঃ সালফেট চুলের প্রাকৃতিক তেল কেড়ে নেয়। সালফেট আমাদের চুলের স্বাভাবিক তেলের ভারসাম্য নষ্ট করে যা শীতকালে আরও বেশি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু চুলের জন্য বাছায় করতে হবে।

ভিটামিন সমৃদ্ধ শ্যাম্পুঃ ভিটামিন E, B5 এবং অন্যান্য ভিটামিন সমৃদ্ধ শ্যাম্পু চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া রোধ করে। তাই সে সমস্ত শ্যাম্পু বাছাই করতে হবে যে শ্যাম্পুগুলোতে এই ভিটামিন গুলো রয়েছে।

প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি শ্যাম্পুঃ শীতকালে শ্যাম্পুর রাসায়নিক উপাদানগুলি চুলে আরও বেশি ক্ষতি করতে পারে। তাই প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। অ্যালো ভেরা, নারিকেল তেল, মধু ইত্যাদি প্রাকৃতিক উপাদানগুলি চুলের যত্নে সহায়ক তেই এই উপাদান গুলি দেখে শ্যাম্পু কিনতে হবে।

শ্যাম্পু কেনার সময় কী বিবেচনা করবেন?

  • চুলের ধরন বিবেচনা করতে হবেঃ আপনার চুল বেশি তৈলাক্ত নাকি বেশি শুষ্ক তা বিবেচনা করে শ্যাম্পু বাছাই করেন।
  • চুলের সমস্যা বের করতে হবেঃ আপনার চুলে কি সমস্যা রয়েছে? চুল পড়া, খুশকি, আগা ফাটা? তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনাকে সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
বিশেষ নোটঃ সালফেট, পারাবেন এবং অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত শ্যাম্পু বেছে নিন এবং
ভালোমানের ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু বেছে নিন যা আপনার চুলের জন্য উপযুক্ত এবং কার্যকরী।

এছাড়া যদি অতিরিক্ত মাথার ত্বকে সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। কারণ আপনার মাথার ত্বকের কোন ধরনের সমস্যার কারণে চুল সব উঠে যেতে পারে। তাই আপনার মাথার ত্বকে যদি সিরিয়াস কোন সমস্যা হয় তাহলে অযথা বসে না থেকে এবং ঘরোয়া চিকিৎসা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

শীতের সময় মাথার তালুর সমস্যা হলে বিউটি সেলুনে ওজন ট্রিটমেন্ট করতে পারেন অথবা ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

FAQ: শীতের দিনে চুলের যত্ন | শীতের সময় চুলের যত্ন

শীতকালে চুল কেন শুষ্ক হয়ে যায়?

শীতকালে ঠাণ্ডা বাতাস এবং কম আর্দ্রতা চুলের আর্দ্রতা শুষে নেয়, ফলে চুল শুষ্ক এবং রুক্ষ হয়ে যায়।

শীতকালে কি চুলে তেল লাগানো উচিত?

হ্যাঁ, শীতকালে তেল ব্যবহার চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে।

স্যালোনে কি চুলের যত্ন নেওয়া ভালো?

হ্যাঁ, তবে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি চুলের যত্ন স্যালোনে নেয়ার পাশাপাশি বাড়িতেও সঠিক যত্ন নেওয়া জরুরি।

শীতকালে চুলের শুষ্কতা কমানোর জন্য কীভাবে তেল ব্যবহার করা উচিত?

শীতকালে চুলের শুষ্কতা কমানোর জন্য আপনি নারিকেল তেল, আর্গান তেল, অথবা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। তেল লাগানোর সঠিক পদ্ধতি হলো, স্নান করার আগে চুলে ভালভাবে তেল লাগিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা রেখে তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখবে এবং শুষ্কতা রোধ করবে।

শীতকালে কি বেশি শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত?

না, শীতকালে চুলে বেশি শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ শ্যাম্পু চুলের প্রাকৃতিক তেল দূর করে ফেলে, যা চুলকে আরও শুষ্ক করে তোলে। সপ্তাহে ২-৩ বার শ্যাম্পু ব্যবহার করলে যথেষ্ট, এবং সব সময় ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।

শীতকালীন সময়ে চুলের খুশকি কেন বেড়ে যায়?

শীতকালে ঠাণ্ডা আবহাওয়া এবং শুষ্ক বাতাস চুলের ত্বককে শুষ্ক করে দেয়, যার ফলে খুশকি তৈরি হতে পারে। এছাড়া শুষ্ক স্কাল্পে অতিরিক্ত তেল জমে খুশকি সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা প্রতিরোধে খুশকি নিয়ন্ত্রণকারী শ্যাম্পু এবং স্কাল্প ময়েশ্চারাইজিং পণ্য ব্যবহার করা উচিত।

শীতকালে চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধে কী করতে হবে?

শীতকালে চুলের আগা ফাটা রোধ করতে নিয়মিত তেল মালিশ এবং ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া, চুলের আগা ফাটা কমানোর জন্য প্রোটিন রিচ মাস্ক ব্যবহার করা, চুল কেটে ছোট করা, এবং চুলে হিট স্টাইলিং পণ্য কম ব্যবহার করা খুবই কার্যকরী।

শীতে চুলের যত্নে কী ধরনের কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত?

শীতকালে চুলের যত্নে ময়েশ্চারাইজিং বা হাইড্রেটিং কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। এই ধরনের কন্ডিশনার চুলকে গভীরভাবে আর্দ্রতা প্রদান করে এবং চুলের শুষ্কতা, ভঙ্গুরতা কমিয়ে চুলকে মসৃণ ও সুস্থ রাখে।

শেষ মন্তব্য

শীতের দিনে চুলের যত্ন নেওয়া একটু কঠিন। কারণ এই সময় ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমরা প্রায় অধিকাংশ সময়ে চুলে মাফলার বা টুপি ব্যবহার করি। যারফলে সঠিকভাবে আলো বাতাস না লাগার কারণে এবং অতিরিক্ত ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে এই সময় চুল রুক্ষ খুশকো হয়ে যায়। তাই এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণরূপে আপনার চাহিদা অনুযায়ী, শীতের সময় ছেলে এবং মেয়েদের চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ ইউনিক কনটেন্ট হিসেবে তৈরি করা হয়েছে, যা বিভিন্ন তথ্যভিত্তিক উৎস থেকে গবেষণা করে প্রস্তুত করা হয়েছে। তাই এই আর্টিকেলে শীতের সময় চুল ভালো রাখার বিভিন্ন টিপস এবং ট্রিক্স ছাড়াও ভালো ভালো শ্যাম্পু সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url